ইট-পাথরের শহরটা যে ভাল্লাগেনা মোটে-
মনটা আমার শুধুই মাগো-গাঁও-গেরামে ছোটে!
যেই মাটিতে লোটে আমার-দুরন্ত শৈশব;
স্মৃতির উঠোন চষে বেড়াই খুঁজি তা কই সব!

ওমনি যেন দোয়েল-শ্যামা শীস দিয়ে যায় ডেকে;
লেজঝোলাটা বেড়িয়ে আসে-পাতার আড়াল থেকে!
হাওয়ায় ভাসা মাছরাঙাটা-ঝাপিয়ে পড়ে জলে;
লাল টুকটুক শোলের পোনা লুকোয় পানির তলে।

তাইনা দেখে শাপলা হাসে-ঢেউয়ের দোলায় দুলে;
সেই হাসিটাই ছড়িয়ে পড়ে দুই পাড়ে কাঁশফুলে।
ফুলের হাসি রাশি রাশি বাতাস মাখে গায়;
আমার তখন রাখালী মন- জীবন খুঁজে পায়!

খুঁজে পাওয়া জীবন আমার-হঠাৎ গিয়ে মিশে-
মাঠে মাঠে ছড়িয়ে থাকা-ধান কাউনের শীষে!
শীষের উপর গংগা ফড়িং পাখনা মেলে নাচে;
আমি যে মা অনেক ঋনী আজো ওদের কাছে!

রাতের বেলা জোনাক যেমন নিয়ন আলো জ্বেলে;
উড়ে বেড়ায় বন-বাদারে আঁধার ঠেলে ঠেলে!
ঠিক তেমনই মনটা আমার-জোনাক হয়ে জ্বলে
খুঁজে বেড়াই হারানো দিন-স্মৃতির অতল তলে!

<>()<>()<>()<>()<>()

রচনা : ১৮ জুলাই ২০১৫ ইং, লালমনিরহাট।