সেদিন হঠাৎ মধ্যরাতে ভাঙল আমার ঘুম
সময় ছিল অবাক করা নীরব ও নিঝঝুম
জানলা খুলে যেই তাকালাম চাঁদটা বলে-‘আয়
দেখবি চোখে ভাসছে ধরা- অবাক জোসনায়!’
এমন ডাকে দেয় না সাড়া সাধ্য আছে কার
সিটকিনিটা আস্তে খুলে- হলাম ঘরের বার।

মাঠ পেরিয়ে হাট পেরিয়ে এলাম নদীর কাছে
চেয়ে দেখি তার বুকেতেই- লক্ষ তারা নাচে
পায়ের কাছে কলমিলতায় ফুটছে হাজার ফুল
আকাশমণির ছায়া ই যেন- চাঁদবুড়িটার চুল
আমায় পেয়ে উঠলো গেয়ে- পাখপাখালি সব
বাও-বাতাশে ছড়িয়ে গেলো- ওদের কলরব
নদীর ওপার হাঁটছিল চার- বালিহাঁসের ছানা
আমায় দেখে দৌঁড়ে এলো ঝাপটে কোমল ডানা
বললো- সানাফ খুশি হলাম তোমায় কাছে পেয়ে
রাত কাটাবো সবাই মিলে ভীষণ নেচে-গেয়ে!

নাচ পারি না, গান জানি না উপায় এখন কি?
নিজেই নিজেকে ধিক্কার দি’- ‘ছি রে সানাফ ছি!
অকর্মার এক ঢেঁকিরে তুই কিছুই জানিস নারে
ছোট্ট অতি- প্রজাপতি নাচতে সেও পারে!’
একটা দোয়েল কাছে এসে বললো কানে কানে
‘সানাফ তুমি স্বরটা মিলাও শুধু আমার গানে’
দোয়েল পাখির কথায় যখন মনে পেলাম জোর
ঠিক তখনই সূর্যমামা খুললো আলোর দোর!