আজ তুমিহীন কয়েকটি বসন্ত!
কেউ জড়াই-নি আমার প্রীতির বাহুডোরে,
বলেনি ভালোবাসি কিংবা প্রেমে পড়তে।
দুর্দান্ত খরতাপের এক চৈতালির বিকেলে-
স্বপ্নেই দেখা হয়েছিল মেঘনার পাড়ে,
অবসন্ন নয়নে তাকিয়েছিলে অসংখ্য বার।
সেদিন- শ্রান্তির অবসরে মাথার চুলে বিলি কাটতে কাটতে কাছে এসেছিলে বক্ষের খুব নিকটে!
তোমার ওষ্ঠ যুগলের ভীরুতায় কি যেনো বলতে চেয়েছিলো!
অতঃপর- তোমার খোঁজে অবশীভূত ষাঁড়ের
পিঠে কেটেছে গোটাকয়েক চৈত্রের দ্বিপ্রহর!
চুক্তিহীন শর্তে এই বিষন্ন পৃথিবীর কক্ষপথে
সূর্যটাকে আবর্তন করেছি অসংখ্য-বার
আজি এই চৈতালির বিকেলে সেই প্রেম
উচ্ছ্বাসিত হয় আমার প্রহৃত হৃদপিণ্ডে,
অস্পর্শ স্বপ্নগুলো উঁকি মারে
একগুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে।
সেদিনের তন্দ্রা আচ্ছন্নে শোনা হয়নি
তোমার প্রেমালাপ, উষ্ণতার প্লাবনে ভাসা
হয়নি তোমার মনের সরোবরে।
ঊষার আলোতে বুনে ফেলেছি আমার অব্যক্ত মনের কল্পনা, হঠাৎ তন্দ্রা ভেঙে দেখি গাদাগাদা
রিক্ততা জমে আছে বিছানা ওপাশ!