চাইলে উদ্যানের সব পুষ্প বিনাশ করতেই পারো।
তুমি মূহুর্তেই নিঃশেষ করতে পারো অপরাজিতার সমস্ত উদ্যান! তবুও বসন্ত আসবেই।
তুমি চাইলেই প্রমাণ করে দিতে পারো আমার রাষ্ট্রদোহীতার অপরাধ। সংবিধানের নতুন কোনো ধারায় কেঁড়ে নিতে পারো বেঁচে থাকার নূন্যতম অধিকার।
চোখের কোণায় জমাতে পারো অশ্রুর প্লাবন,
বুকের জমিনে বানাতে পারো রক্তাক্ত প্রান্তর।
খুন করতে পারো আমার ইচ্ছের পৃথিবীর
সবকটি বর্ণিল স্বপ্ন, জেনো তবুও আমি জাগবই।
বানোয়াট-মিথ্যা অপবাদে আমাকে পূঁতে ফেলতে পারো পুতিগন্ধময় কাঁদায়। তোমার তীব্র ঘৃণায় কাঁড়তেই পারো আমার টগবগে প্রাণ।
তুবও জেনো– জোয়ারের প্লাবিত অমোঘ নিয়মে আশার অবাধ উড়ানের মতো আমি জেগে উঠবোই।
চাইলেই আমাকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্ধী করে রেখে দিতে পারো শতসহস্র বছর।
তোমার অগ্নি দৃষ্টিতে করে দিতে পারো ভস্মীভূত।
চাইলে আবু সাঈদ এবং মুগ্ধের মতো আমাকেও বেয়নেট উঁচিয়ে হত্যা করতে পারো–
পরাধীনতার ব্যারিকেডে আঁটকে রাখতে পারো,
আমাকে পরাতে পারো বহুবিধ নিষিদ্ধ জিঞ্জির।
মনে রেখো–তবুও আমি জেগে উঠবোই।
তুমি কেঁড়ে নিয়েছো সম্ভ্রম, কেঁড়েছো বাকরূদ্ধ মানুষের প্রতিবাদী হুঙ্কার– রক্তের উষ্ণতায় ভিজিয়েছো স্বাধীন চকচকে চব্বিশের রাজপথ। অব্যর্থ হাতে উড়িয়ে দিয়েছো কিশোরের খুলি।
আজ দণ্ডায়মান দণ্ডধারায় তোমার বিচার চাইতে এসেছি। এসেছি আজ তোমার পৈশাচিক হত্যালীলা আর অত্যাচার-নিপীড়নের ধিক্কার ছড়াতে! ধিক্কার শুধুই ধিক্কার– শুধুই ধিক্কার....!