এই বসুধার মানব জনম শেষ বিদায়ের কালে,
টলমলাইয়া অশ্রু ধারায় শোকের বেদন ঢালে!
উঠোন ভরিয়া আহাজারিতে   পল্লীর- পাড়াগাঁ,
ক্রন্দন তুলে নিকট স্বজন  কাঁদিয়া বেড়ায় মা।
  
রহিবেই শুধু স্মারক-চিহ্ন ছবিখানা তার ঝুলে,
ক্ষণকাল পর জগৎ জননী নিমিষে রহে ভুলে।
মা-জননীর কান্নারোলে আকাশ বাতাস ভরে,
পুত্র হারায় ব্যথার পাহাড়  বক্ষে জড়িয়া ধরে।

জটের চুলে সাজিয়া বেদে  পড়িয়া ছিন্ন শাড়ী,
নিথর হইয়া রহে গো মাতা  জঠরের ধন হারি।
ওঠেনা অন্ন দুহাতে তাহার কেঁপে ওঠে থরথর,
রহে গো চাহিয়া  মূক নয়নে নিঝুম পুরীর ঘর।

শ্মশান গোরে মরণ বাসর  চন্দন কাঠে সাজি,
শুভ্র বসনে রহিবে ঘুমিয়া তরণী বিহীন মাঝি।
শবের যাত্রী  রহিবে পড়ি  তিমির গোরে শুয়ে,
অনন্তকাল  শ্মশান সারথি কোমল চিত্ত ছুঁয়ে।