তন্দ্রা তন্ময় ভাঙিয়া আজি শোভিয়াছে মোর মন
দেখিয়াছি  স্বয়ং  মেলিয়া নয়ন  নব কুসুমের বন
               নব  কলিকায়  দোলে-
               শাল শিরিষের কোলে,
দোদল্যমান    কোমল পবন   বহিয়াছে শন্-শন্
গিয়াছে সাজি   অবনী জুড়ে   রূপকের নিধুবন।

নয়নাভিরাম  পুষ্পের বাগে  ভরিছে পুষ্পে ঢাল
রাখাল  ছুটিছে মাঠ প্রান্তরে  লইয়া ধেনুর পাল
           ডাকিছে পাখি উষার ভোরে-
           জলাশয় ভরাট কুমুদী জুড়ে,
নিশ্চল দুয়ারে দাড়িয়া রহি  তনুটি দোলে মোর
পূবের গগন    হাসিলো নূরে   দেখিয়া  যতদূর।

তমালের তলে  ঘ্রাণ-সুরভী  বহিয়াছে ঝিরঝির
কাশে সাজিলো ওই সূদুরের, তটিনীর দুই তীর
            শ্রাবণ মেঘের ঢাকিয়া চাদর-
            উদিল দীপ্তি  আসিল ভাদর,
খুলিছে কপাট উষার দুয়ার নিদ্রা গিয়াছে ভাঙি
নাচিছে ফিঙে  ঝিঙে মাচায়  কুঞ্জ-কানন রাঙি।

পায়ে শিঞ্জিনী  পল্লী রমণী   গাগরী কাঙ্কে নিয়া
সোনার লহরী    ডাহুক প্রাতে  নব সঞ্চার দিয়া
            শোভিত আজি অরুণ তনু-
             ওই হাসিলো   কদম রেণু,
নব ছায়াতল বহিছে ধীরে পরাণ লোভিত হরি
আহা কি শোভা হেরিয়া প্রহর এই ধরিত্রী ধরি।