আকাশ পাতাল কাঁপিতেছে শুনে প্রলয়ের হুঙ্কার,
জাতির মস্তক নিলোরে ঢেকে নীরদেই একাকার!
দেখিছি আজি মজলুম সবি কাঁপিয়াছে হে ত্রাসে,
উৎপীড়নের  খড়্গ ছুঁড়িয়া  ইহাদের পাঁজর নাশে।

নভঃ কম্পিয়া আসিয়াছে কি অখিলের মহাত্রাস?
কৃষ্ণবর্ণের আবরণ ছিঁড়ি  করো হে জালিম নাশ।
ইব্রাহীম এর   অগ্নিকাস্টে  ঠেঁকিয়াছে গগন দ্বার,
কলুষ কলঙ্ক  দিয়াছে জ্বালি   নিমিষেই ছারখার।

বাড়িয়া বহ্নি  যুগযুগান্তর   ফুঁসিয়া বারিধির তল,
উঠিল ফুঁসিয়া আর্ত-ব্যথিতের ক্রন্দন-কোলাহল!
কলুষ কলঙ্ক শ্বাপদের মতো মারিয়াছে জন জন,
আঘাত হানিয়া ভেঙেদেয় ওরা মুমিনের তনুমন।

করিতে উহারা  ঈমান যাচাই  আগ্নেয় অস্ত্র লয়ে,
জানেনা বুঝি তোপের সমুখে নুয়ে পড়েনা ভয়ে।
পদাঘাতে ঐ  জালিম আরশ  করে দাও চুরমার,
বজ্রকন্ঠে    তুলিয়া ঐ ধ্বনি   আল্লাহু আকবার।

ঘনঘোর তিমি গগনের বুকে বিভোর ঝঞ্ঝা ওঠে,
গারদের ঐ কয়েদীর ঊরুই নিগড় গিয়াছে টুটে।
উল্কা, দম্ভোলি, বৃষ্টি, তুফান  মোক্ষপথের সাথী!
লক্ষ মোদের  দুর্দম ত্বরায়  কুফরের বুকে লাথি।