হোক প্রতিবাদ-হোক প্রতিবাদ সজোর কন্ঠ চিৎকারে-
থু থু ছিটকে নস্যাৎ করো- ধিক শতো ধিক ধিক্কারে।
নীতির মশাল জ্বালরে মানিক-
রাখাল কৃষাণ কুমার বনিক।
যুদ্ধে যাবো বীরের বেশে রক্তেই গঙ্গা করবো লাল--
ভ্রষ্টাচারীর কবল থেকে আনবো কেতন উড়বে কাল।

বজ্রনিনাদ প্রলয় ধ্বনি ------উৎপীড়িতের ক্রন্দনে-
বাজাও ডঙ্কা বাজাও বীণা---ঐক্যবদ্ধের বন্ধনে।
জাগরে ওরে তরুণ নবীন,
নয় নতশির বৃদ্ধা প্রবীণ।
দামাল সামাল কৃষক শ্রমিক আর থাকিস না চুপ করে-
দেখনা তোরা চোখ মেলে আজ দেশমাতা মা যায় মরে।

ঘরের রাণী- ফুটফুটে বোন -করলো যারা সর্বনাশ--
রক্ষক কেনো আস্ত হাঙর? -পায়না কেনো দীর্ঘশ্বাস?
ঝিম ধরিস না জেলে চামার-
চল রে তাঁতি ওরে কামার!
ভাঙরে তালা আগুন জ্বালা-দে মুছিয়ে মায়ের চোখ-
রাজপথে মার খাচ্ছে যারা- দে তাড়িয়ে তাদের দুখ।

রক্তে সবার আগুন জ্বালা- দে জ্বালিয়ে অনাচার-
দাঁত ভেঙে দে ঐ হায়েনা'দের দূর হয়ে যাক অন্ধকার।
আয়'রে আমার কুলি মজুর-
শিক্ষক কিংবা আলেম হুজুর।
দল বাঁধিয়ে চলরে সবে- গগন বেদির তুল-কালাম
ধর্ষিত যা মা'বোনদের আজ আনবো টুটি লাল সালাম।

নেই নীতি আজ রাজনীতিতে,রাজপথে খায় ছাত্র মার-
তুচ্ছ কর রে জীবন মরণ- বাহুর বলে তুল-রে দ্বার।
জায়া কন্যা আয় জননী-
রুদ্ধ করি এই ধরণী।
আর্তনাদের ভাঙরে শিকল উঠুক জেগে সজীব প্রান-
দুখ-পীড়নের পাটান ভেঙে একই কন্ঠে গাইব গান।
একই কন্ঠে গইব মোরা- উঠুক জেগে সজীব প্রান---