যখন আমার অনিদ্রা দমন হবে একটা নিবিড় নিদ্রায়-
তখন একখন্ড মেঘের আড়ালে লুকোবো,
তুমিও আমার বিনিদ্র রজনীর বিষাদের গল্প শুনতে আসিও প্রিয়!
তুমিহীন জীবন এখন অনাদরের উপবাসে অভ্যস্ত,
রোজ চাপা পড়ে বালিয়াড়ির নির্জীব ফসিল!
লিখে যাই না-পাওয়ার অতৃপ্ত বাণী মৃত্তিকার প্রোফাইলে।
নিঃশব্দের গোঙানির শব্দরা ইথারে প্রতিধ্বনিত হয় আজকাল। থেমে থাকা দেয়াল ঘড়িটা
জানান দেয় কতকাল ছিলো স্থীর! মাকড়সার জালে জড়িয়ে থাকা ধুলোবালির আস্তরণে বলে কতকাল কেউ মাড়ায়নি এই প্রেমহীন গৃহ।
আমার মরচেধরা আলমিরায় একটি
স্বযত্নে সঞ্চিত শব্দের বই,
বেভুল-অসতর্কে পুরোনো অর্কিডের পাপড়ি আর শ্যাওলাধরা উঠোটা সাফ করা হয়নি কতযুগ।
বর্ষপরিক্রমায় দিন-মাস-বছরের হিসাব গুনি
পেরেকে লটকানো প্রাণহীন দিনপঞ্জিকায়!
আঁধারে বুক জুড়ে ধরে রাখি অব্যক্ত বিষাদের লোচন। রোজ মনের ডায়রিতে আঁকি বিমূর্ত রজনীর কোলাজ।
নিষ্ঠুর সময় আজ তোমায় বেঁধে দিয়েছে অপরিচিতের সুতোয়! ছন্দপতনের নিরানন্দ জীবন থেকে যেদিন আমি নিদ্রিত হবো, সেদিন আমার দেয়ালের খসে পড়া পলেস্তরার কষ্ট দেখতে এসো প্রিয়।