হে নারী!
যে তোমারে পতিতা করিয়া,পতিতা বলিছে মুখে,
মানুষ নহে অমানুষ উহারা চাহিবো ঘৃণিত চোখে।
মুছে নাও নারী   অশ্রুবারি   উজালা রাঙিয়া মন,
ও হে রমণী  মায়ের জাতি   মনোরমা  তব তন।

বিস্ময় তব মনোলোভা মোর প্রেম,রূপ,মায়া,মধু,
নাহি বুঝিলো কাপুরুষ উহারা,কার মা,বোন,বধূ।
তোমারে লইয়া যাঁহারা বিশ্বে  নিঃস্ব হইয়া লড়ে,
তাঁহারা আজি  নষ্টালজিক  নাহি তার টনক নড়ে।

শোন হে যুবক!
আবেগের তরে তৃপ্তি লইয়া,মিটিছো দেহের স্বাদ,
পরক্ষণে কেন করিতে ঘৃণা বিবেক দিল'না বাঁধ?
নষ্টালজিক  বেহায়া তুমি  লুকিয়া রইয়াছো মুখ,
যদি হয় তব পতিতা নারী, করিয়াছ কেন ভোগ?

ভাবিছ যদি পতিতা তাঁহারে নারীবাদ তুমি ভন্ড,
ক্ষুধিত বিশ্ব নরক রাজ্যে, আনিয়া দোষের দণ্ড।
দুষিয়াছ তব  নিজের দোষে  পাপতাপ যত লই,
বাহির অন্দরে  টানিয়া যদি  নিস্পাপ কেহ নই।

আলয় হতে বাহিরে গিয়া কেনো হে আরাধনা?
বুঝনি তব নারী মা জাতির নাগিনীর বিষ ফণা।
কার বাসরে  উজালা ভাঙিয়া  রহিয়াছো স্থির?
অঢেল ভান্ড  কাটিয়া তব  তিলতিল গড়ে শীর।

হে জননী!
পিছন ফিরিয়া থাকিওনা মা,নাও পাতিয়া মেনে,
তাঁহারা আজি পাপের চিহ্ন বহিছে নিত্য জেনে।
আজিকে তব  অশুভ সমাজ  করিয়াছে মা বাম,
অসভ্য-রা দিয়াছে মাগো পতিতা তোমারি নাম।