চিত্তের রুচি টুকু আত্মসাৎ হয়েছে বহুকাল আগে,
অধুনায় রুচি চূর্ণন করি গর্জে ওঠা স্বরণীয় দেয়ালটায়,কিন্তু একটি বিহঙ্গ পিঞ্জর ছেড়ে প্রস্থান নিয়েছিল মুক্ত ডানায় উড়বে বলে।

একাধিক প্রাকার খণ্ডনেও দর্শন করা হয়নি উৎকর্ষের, অধিক তীক্ষ্ণেও লাঙ্গলের ফলায় দংশন হয়নি ঐ ভূতল খানি, অধুনায় নেংটী ঝরিয়েছিল
স্বেদবারি,অঙ্কুরিত হয়নি অব্যক্ত বীজ গুলো।

সম্বন্ধের সমস্ত দেহ দাফনের অবসানে অবশিষ্ট পুঁজি তা-ই আজ শুধুই স্মৃতি, হন্যেই রোজ খুঁজি সেই পটভূমি,গোধূলির বালুকাময় সেই তটিনীর পাড়, বিস্তীর্ণ পারাবারের কূল।

আয়ুকাল আজ ফাঁকা চিত্তের উঠোনে অলীক কল্পের চক্রাকারের গড়ানো,
দিক-নিশানা হীন অভিযাত্রা, অমসৃণ হৃদয়-তন্ত্রী
কম্পিত খরস্রোতে।

চঞ্চলা কুরঙ্গী পায়ে উৎকন্ঠিত ঘুরে ফিরে দিগ্বলয়ের অজানা সুদূরিকায়,
একাধিক পলায়ন অপরাহ্নে শ্রাবণ অপ্সরা নীরদে আহত করে রোজ, পুরনো বাঁক ঘেঁষে অবিরাম বয়ে যায় গোধূলির শেষ প্রহর।

ক্রমাগত বৈরী প্রবাহে আক্রান্ত হয় জ্বালাময়ী ক্ষীণ দেহ- নিরন্তর লহরী দেয় মনো বীণার খেয়া,
নিরাকার ক্লেশ ও বিহঙ্গের কন্ঠস্বরে পতিত হয় অথৈ তৃষ্ণা, অবসন্ন হৃদপিণ্ডে অধরাকে চায় ক্লান্তিহীন অচলন এই চিত্তমম।