প্রতিদিন সকাল নামে অন্ধকূপ থেকে একটি কাঁচের
গ্লাস ভেঙ্গে নিঃসঙ্গ এই শহরে, খুঁজলির নিশ্বাসে নির্ঘুম গলিতে ভুখা কুকুরের আর্তনাদে বাজে নিরাশার শোক ! অন্ধকার মোড়ের আলোহীন পর্দার অন্তরালে ধূর্ত শিয়ালের বেফাঁস বিচরণে অলিগলি।
বুকের অসংযত স্থানে ময়লার নোংরা স্তূপ, পলিথিনে মোড়া মর্গের চাতাল হতে ভেসে আসে নবজাতক ও বেনামী অজ্ঞ মানুষের পঁচা লাশ, নগ্নতার মাতালে নির্বীজ এই শহরে নিন্দিত হৃদপিণ্ডে বেজে ওঠে করুণ বেহাগের সুর।
জলশূন্যের দিঘিতে পদ্মপাতার উবিমুখি করুণার
কান্না, এক মুদ্রার পিঠে ন্যায্য শ্রমের পাওনায় ধনকুবেরের ঘাড় ধাক্কায় এখানে,অট্টালিকার নিচে বিভেদকরণের যুদ্ধ নামে দুইদিক হতে।
এই শহরে সভ্য মানবের কালো কোটে ঝুলে থাকে বাদুড়ের রক্তাবৃত চোখ, বিষাক্ত কীট আর বেশ্যা ইঁদুরের অমীমাংসিত সহবাস, আলো আঁধারের জঘনে মরণ কামড়।
জাতির মিছিলে ছুড়ে আয়ুধের বুলেট আর জ্যান্তদের দেয় চৌদ্দ শিঁকির জেল, শুরু হয় ঘরমুখো রাজ্যে ফেরা মানুষ নিধনের মহাযুদ্ধ- অতঃপর সাদা কাগজে লিপিবদ্ধ হয় বেওয়ারিশের অজ্ঞাত দলিল।
রোজ নেমে আসে কর্মক্লান্ত যামিনীর আঁধার, সমাগম ঘটে বেশ্যাসভ্যতার লাল-কালো মিছিল! ফুরাডান আর কেরোসিনে জ্বালা হয় উচ্ছেদের কাঠ পোড়া মহাশ্মশান, বিপন্ন হয় ক্রমাগত এই শহরের প্রতিটি অলিগলি।