নিঃসঙ্গতার দহনে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় প্রতিটি প্রহর-
এপার- ওপার আজ দুজনেই নিশ্চুপ।
বিরহের ক্রন্দনে রিক্ত দেহের ঘাম ঝরে,
আশা আকাঙ্খা সব অশ্বখুরাকৃতি দ্রুত পালায়।
হৃদপিণ্ডের সমস্ত আরাধনাই তোমার স্মৃতিকে ঘিরে
পোয়াতি স্বপ্ন গুলো নিমিষেই ক্ষয় হয়,
নিঃসঙ্গতার আবর্তে হৃদয়ে কম্পন দেয় সমস্ত স্মৃতি,
প্রায়শই মৃত্তিকায় লেগে থাকে অগুনিত রক্তের দাগ।
তুমি নামক ছোট্ট একটি শব্দের ইতি টানতে গিয়েও
অনাকাঙ্ক্ষিত জড়ো হাওয়ায় হোঁচট খাই বারংবার,
বিধ্বস্ত হয়ে উপচে পড়ে আজ বিশ্বাসের দেয়াল-
অভিমানের নিখাদ জমি- চষে যায় বিষাদের লাঙ্গল।
রাত-দিন তন্দ্রাহীনায় ছটফট করে খোঁজতে থাকি-
স্মৃতির পৃষ্ঠা হতে নানাবিধ জটিল ধাঁধার উত্তর,
হৃদ পাখিটা জড়সড় হয়ে থাকে শ্রাবণের বারিধারায়-
শেষ প্রহরে প্রচন্ড ভাবে নাড়া দিয়ে যায় বিষাক্ত শেল।
জীবনের নাভীমূল জড়িয়ে বেঁচে থাকব হয়তো দুজনে,
বেদনার নীল জলে ভেসে- বিদায় নিবে ভালোবাসা,
অন্তিম এই জীবনের চৌকাঠে দাড়িয়ে ভাবি শুধু আজ
আমি নদী ভাঙনের কবলে, চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে অনাদরে-- ছিঁড়ে যাবে- আমার খাস জীবনের খতিয়ান।