নৃপতির পীড়ন
এম.ডি জিয়াবুল
আসি এক পথিক বসিল পথে তন্দ্রা ঘিরে ক্ষণে,
কর্ণে বাজে শব্দালঙ্কার আসিলো সমীপে রণে।
বুঝিতে নাহি পারিল পথিক উঠিবে হস্তে কড়া,
কোন আরোপে দণ্ডে তাঁহার পড়িতে হইবে ধরা।
আসিল লেঠেল করিলো অধিক অর্থদণ্ড দাবী,
নহে যদি দিস-গারদে গিয়া-চাবুকের মার খাবি।
শঙ্কা হইয়া কহিল পথিক করো হে মোরে ক্ষমা,
নহিরে পথিক পন্থে নিবাস নাহি কিছু হে জমা।
স্রষ্টার সৃষ্টি এই ভূতলে বিচরণে যাঁহার খোঁজ,
তাঁহার কৃপায় মেদিনী-মহী চষেছি মোরা রোজ।
কহিল লেঠেল নাহি'দে জ্ঞান মম নৃপতির সেনা,
মেদিনী-মহী, সরণি সকল মম নৃপতির কেনা।
নৃপতির রাজ্যে লুটিয়া বায়ু নাহি যদি দিস কর,
সশ্রমেই তুই গারদে গিয়া ধুঁকিবে জনম-ভর।
ক্রন্দনে পথিক স্রষ্টার সমীপ তুলিয়া দুটি হাত,
কহে'গো প্রভু তব'হে ভূমিই গ্লাণিতে দেয় ঘাত।
মেদিনীর ঊর্ধ্বে দিয়াছ প্রভু সকলের বসবাস,
কি খুঁতে মদীয় জন্মে উহারা করিছে উপহাস!
দুষ্ট মানবে দলনে দণ্ডে করিয়াছে কেনো রাজ?
কেনো গো প্রভু নৃপতি কেহ,,কিছু করিলে দাস!
লুটিয়া ওরা জমি-জমা'ধন মেরেধরে সব খায়,
দেখেনা আজি উঁচু'নিচু ওরা নাহি রয় সমতায়।
প্রাণত্যাগে নৃপতি-ভিক্ষুক নাহি পরিচয় তাহার,
কেন গো প্রভু ভূতলশায়ে এত পীড়নের বাহার?