আজি বিশ্ব হতে সর্বাগ্রগণ্য,মোর জননী জন্মভূমি
অসীম মহিমায় মহিমান্বিত তোমারি চরণে চুমি
স্নিগ্ধ শ্যামল গিরি তরুবন-
অবিরাম বহে বায়ু শনশন,
তটিনীর দুপাড় হেলিয়া দোলে ধবল কাশের সারি
রাঙিয়া উঠিলো মহারণ্যে মরুর আবরণ ছাড়ি।
ঋতু অনুরাগ দুলিতেছে ফুল, কতক ফলের রঙ্গে
বিচিত্র রূপে লীলাভূমি মা শোভিয়াছ মোর অঙ্গে
তটিণী-র বুকে কুলুকুলু সুর-
বিহঙ্গ গলদেশ গাহে সুমধুর,
বায়ুস্রোত বহে ঢেউ তুলিয়া সোনালী আউশ ধরি
প্রকৃতি আজি দিয়াছে মাগো তোমারে বক্ষে ভরি।
রাঙিয়া তুলিতে তব জননী কত আবিরের ডালা
গগনবিহারী দিয়াছে গো মা লক্ষ তাঁরার মালা
রহিছে ভূষণ গিরিপথ তাজে-
বিটপী চরণে শিঞ্জিনী সাজে,
নন্দিনী মোরে বন্ধী করিছে কতক আভরণ নিয়া
আহা কি সুধা করিছে গ্রহণ,এদুটি নয়ন ও হিয়া।
গিয়াছে রাঙিয়া পুষ্প রসে তোমারি অঙ্গন খানি
ওই দখিনের বায়ুদেবতায় দিয়াছে সুবাস আনি
আহা সুমধুর অসীম আগার--
আঁখিদ্বয় দোলে হেরি অনিবার,
মাগো,দিয়াছ পাতি তব আঁচলে পূতপবিত্র মাটি
হইয়াছি গো মা- তব চরণে,কনকের চেয়ে খাঁটি।
চাহে সরোসিজ দূর্বা মৃদু উঠুনে ভরিয়া আজ
গলিত নিশির নিহার বিন্দু রাঙিয়া তুলিছে ঘাস
ওঠে গো আজি রামধনু আসি-
ওগো মা রে তোর মধুর হাসি,
অঙ্গে আজি নব দিনপতি, ঊষার প্রদীপে ছেয়ে
তোমারে পূজিয়া পুষ্প কুড়ায় পল্লীজননী মেয়ে।
রাখাল তুলিছে মাধুরি গীতি করিছি শ্রবণ কানে
মাঝিমাল্লা'রা বাহি ওই তরী, তটিনীর মাঝখানে
শ্যামা সংগীতে বাজিয়াছে বীণ-
তোমারি তনুতে কাটিয়াছি দিন,
যখনি শুনি আযানের ধ্বনি দিয়াছি সাড়া রবের
আহারে ভূমি তোমারে চুমি, মঙ্গল খুঁজি সবের।