হে প্রণয়– তুমি ঈশ্বর হও..
দৃষ্টির অগোচরে হও আরও তুমি বিদ্যমান,
তোমার উপাসনায় কাটুক আমার যাপিত
জীবনের অষ্টপ্রহর।

হে প্রণয়– তুমি হও হেমন্তের অস্তমিত বিকেল-
গগন জুড়ে ভাসতে থাকুক স্বচ্ছ মেঘের আবরণ,
আমার অবসন্ন কায়ায় ফিরে পাক সেথা তুষ্টির নিমজ্জন।

হে প্রণয়- তুমি হও আমোদপ্রাপ্ত নবান্ন..
তোমার আমোদে দুলতে থাকুক সোনা ফলা
কৃষকের সুখ, প্রভাতের শুভ্র নীহার আর ভাসমান নীরদে ঢাকা শ্যামবর্ণের অরণ্যের বুক।

হে প্রণয়- তুমি হয়ে ওঠো শাহবাগের  চত্বর..
তোমার দৃষ্টি বদনে বাঁচিয়ে রাখুক প্রতিশোধের অগ্নিশিখা, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হোক বিক্ষোভের দগদগে ক্ষত।

হে প্রণয়–তুমি হয়ে যাও একটি জীবন্ত শহীদ মিনার..
শিমুল ও কৃষ্ণচূড়ার ডাল রক্তের আবীরে ফুটুক আগের মতোই.. দেখে লজ্জিত হও ছিন্ন বিচ্ছিন্ন রক্তাক্ত শিশুর মরদেহ।

হে প্রণয়- তুমি বিক্ষুব্ধ রাজপথ হও..
বারুদের ঝলকানিতে কম্পন ধরাও শোষকের বুক,
এক লহমায় ছিন্ন করো আমার অপাপবিদ্ধ
ভাইয়ের পায়ের শৃংখল।