যখনি ভরিবে কাননে-কুসুম বহিবে যমুনায় ধারা,
রচিব তখন প্রেমো-গীত মোর প্রণয়ে হইবো হারা।
পুলকে জাগিবে বনো বিজনে চন্দ্র তিথির দীপ,
উঠিবে টুটিয়া নিহার বিন্দু রাঙিবে হরষে নীপ।
চৈত বসন্তে বহিবে বাতাস দিবে মোর প্রিয়া সাড়া,
নীরদে নভে জাগিবে প্রদীপ উবিবে নিঝুম তারা।
উঠিবে উথলি গগনে হাওয়া ছড়িবে সুভাস বনে,
প্রণয় পরশিবে পরাণে প্রিয় লাগিবে দোলা মনে।
অধীর হইবে বিজন বিহগী নিমিষে জাগিবে তিথি,
পরাণে তন্ময় রচিতে তব মধুরিমা মালতী গীতি।
প্রীতির পরশনে ভরতি হইবে গগনের রামধনু,
কন্ঠ কেকায় বাজিয়া উঠিবে মেঘ মল্লার বেণু।
আকুল হইবে অশ্বত্থের বন তমালে বহিবে হাওয়া,
শাল-পিয়ালের বন নাচিবে নেত্রে চুকিবে চাওয়া।
নিহার ঝরিবে তৃণের বক্ষে পরশনে ফুটিবে ফুল,
সহসাই আনিবে চন্দ্রালোকে চৈতী চাঁদের দুল।
উথলি উঠিবে আকুল পরান বাঁশরী শুধাবে গান,
জাগিয়া উঠিবে তটিণীর তট অথৈ জলের বান।
সহসা ঢলিবে গুপ্ত কামনা বারেক ফেরালে আঁখি,
লাজ লোলিত অঙ্গ বসন বদনে রাখিবে ঢাকি।