ভাঙছে হাঁড়ি ভাতের বাটি বক্ষে আছে প্রাণ যাহার,
জীবের যাপন হা'হুতাশে নির্জীবে পায় ফল পাহাড়।
পায় না বসন জায়া জননী মৃত মায়ের বসন দান,
ফাটল ছাতি বক্ষে যাহার কে রক্ষিবে তাহার প্রাণ?
নিন্দায় জড়ায় জিন্দিগি যার দুখ কবলে শিষ্ট রাশ,
উদর পুড়ায় দ্বিনবতি সে ছাড়ছে তাহার দীর্ঘ শ্বাস।
কেউ যাচে ঐ নাজ দলিয়া এঁটো খাবার ভূলোকে,
তা লভিছে জিবের ডগায় গোগ্রাসে হায় নেয় মুখে।
নাচ নর্তনের রঙ্গশালায় কেউ-বা নাচে নিজ মোহে,
কেউ'বা পুড়ে চিত্ত জুড়ে মরছে শিখার তাপদ্রোহে।
মরছেরে হায় পন্থশালায় জীবের মুখে আহার কই?
চন্দ্র-তিথির পায়না আলো তন্দ্রা ভেঙে জেগে রয়।
উদর জ্বালায় হস্ত পাতে বসন খোঁজেন তিন পথে,
পাচ্ছেন যাহা হস্তে পাতি তা দিবে সে কোন ক্ষতে?
পথের পরে পথ পাড়ি দেয় ঘাঁট হতে যায় ঐ হাটে,
কোন মোকামে কাটায় ওরা নিদ্রাহীনা শেষ রাতে?