সব হারিয়ে কি পেয়েছি ভাবনা জাগায় মনে,
যোগ হয়েছে কতো কিছু নব্য যুগের সনে।
বিলুপ্তে আজ হাতপাখা নেই টিপে ঘুরে পাখা,
করছে যেজন উচ্চ বিলাস এসি তে ঘর ঢাকা।
আর জ্বলেনা ঘুঁটের চুলা এলপিজি গ্যাস ঘরে
পাইনা খুঁজে লন্ঠন বাতি বিদ্যুৎ আলো ধরে।
কেউ শুনেনা ভূতের গল্প কালের স্রোতে ফেঁসে
মুঠো ফোনের মগ্নে মাতাল প্রিন্ট মিডিয়া এসে।
জারি সারি পল্লীগীতির কোথায় গেল আসর?
রোমাঞ্চ করে ডিস্কো ডান্সে সুর বিহীনা কাঁসর।
রোজ দেখিতাম রঙিন খামে পিওন বাবু হাঁকে,
আর আসে না হাতের লেখা চিঠি পত্র ডাকে।
গাঁও-গ্রামের রাস্তা ঘাট আজ ইট পাথরে ঘেরা,
গ্রাস করিল দালানকোঠায় কঞ্চি বাঁশের বেড়া।
বউ চড়ে না ঘোড়ার গাড়ী যান্ত্রিক এসে দেখি,
চাল ভাঙে না পল্লী মায়ে বিলুপ্ত আজ ঢেঁকি।
পাঁচ দশ আনার কড়ি মুদ্রা পায়না খুঁজে হাটে,
রাখালিয়ার মোহন বাঁশি আর বাজেনা মাঠে।
সব অচলে দিন বদলের কতো স্মৃতির কথা,
পুরোনো সেই অতীত স্মৃতি জাগায় মনে ব্যথা।