রক্তিমা উদয়ন প্রভাতে দিবাকর,
পাখিদের গুঞ্জনে কি মধু কথা স্বর।
নীহারের কণা জল মরুময় শুকিয়ে,
নিদ হারা জলচর বনে যায় লুকিয়ে।

নিশুতির সমাপ্তি রূপকের খালেসে,
গৃহ ত্যাগ বিহঙ্গ ভোজনের তালাসে।
দিনমান চরাচর অরুণের চাদরে,
পুলকিত এ বসুধা মিশে রয় সাদরে।

শ্বেতকায় মেঘমালা চঞ্চলা তটিনী,
চিকচিক সরোবর প্রীতিময় লাবনী।
শাপলার হেলদোল জলাশয় পুকুরে,
শালিকের দলবল যায় কোন সূদুরে।

সবুজের নীলিমায় দেয় দোল মোহনী,
মনোমত মমতায় টেনে নেয় অবনি।
কুসুমের অরণ্যে সুবাসিত করিয়া,
মানবের কলরব এ মেদিনী ধরিয়া।

গোধূলির হাঁকডাক রজনীর ইশারা,
দিবাকরে দংশন নিশুতির পাহারা।
লুন্ঠনে কোলাহল যায় সবি ঘুমিয়ে,
পূনরায় দিবাকর দেখা দেয় চুমিয়ে।