আজি এসেছি ভূধরের দেশে সুদূর সরণি বাহি,
করতল সমীর ঝর্ণার সুরে ভূধরের গান গাহি।
মেঘবতী তার উষ্ণ পরশে ললাটে দিয়াছে চুম,
দোহাই মধুর বুনিতে স্বপন কৌমুদী ছড়ায় ধুম।
গিরিকন্দর মৃত্যুপ্রাণ আজি ভূধরের জ্বালামুখ,
ঝর্ণা আজি নাহি ঢলিয়া নাহি ভিজে তার বুক।
তবু মোর তনুই অমৃত সুধা করিয়াছে হে পান,
মম পরাণের নব সুখ আজি করি অনুসন্ধান।
আপনা চিত্তে নীরব বচন রূপকথা বুঝি আঁকে,
মোহিনী রূপের হাতছানিতে ভূধরীকন্যা ডাকে।
বিস্তীর্ণ তটিনী বহিয়া চলিছে নিষ্কর ভূমি চিরে,
অভিনিবেশের স্বপ্নভেলা ভাসিয়াছি তারনীরে।
চিত্তে মম দিয়াছে দোলা নয়নে জাগিছে মোহ,
যতদূর চাহি অপরূপ দেখি সবুজের সমারোহ।
দেখিয়াছি কত পাখির কূজন মলয় মধুরধ্বনি,
নাহি রূপে শেষ বিমলা গিরি প্রাণের সঞ্জীবনী।
বনফুল নাচে, নাচে কিশলয় দমকা পবন ধরি,
প্রহেলিকা নামি অবগুণ্ঠনে বক্ষে নিয়াছে ভরি।
গোধূলিলগ্নে তব ললাটে তপন আবিরে সাজে,
অনন্তনীলে প্রলেপ দিয়া নিশুতির বাঁশি বাজে।