আমার একবিন্দু চোখের নোনাজল বড্ড মূল্যহীন- তৃষ্ণার মরুভূমিতে জন্মায় আমার স্পন্দন,
নিস্তব্ধ হয় আমার পুরো দেহ, ফেলে আসা যতো স্মৃতি- শতসহস্র অতল প্রেমের বাঁধা ছিলো মায়ার বন্ধন।

কিন্তু আজ কেউ কারও নই, হয়তো তুমি এখন অন্য কারো চোখের স্বপ্নের ছায়াবীথি--
কল্পনার নিশিতে আমি একা একা স্বপ্নের জাল বুনি-
স্মৃতির ঘন ঘোরে ভেসে দিয়- যতো ছিল অনুভুতি।

আজ আমার ভাবান্ত আঁখি দু'টি বড্ড ঝিম খেয়ে যায়-
পাষাণ প্রাচীর ভেঙে লাজুক চোখে তোমার সন্নিকটে দাঁড়াই-বড্ড কষ্ট হয়, তুমি নামক মানুষটা আর নাই,
আর দেখতে পাই'না চাকচিক্য রূপ আগের তুলনায়।

দৃষ্টি সীমানায় আজও খুঁজি কাঙ্খিত বাসনার প্রলেপ-
রিক্ত দেহ বাৎসরিক দেয়াল পঞ্জিকার মতো রদবদল,
পুষ্পের ন্যায় প্রস্ফুটন সেই চেহারার মাধুর্যতাও আর নেই,শত অবহেলার জলাঞ্জলিতে জ্বলে তপ্ত-উনুনের দাবানল।

জীর্ণ খামের ভিতরে ধূলাক্ত কাগজের মতো আজ-
বিরহ ঝড়ের তান্ডব বিধাতা তুমি ছাড়া কেহ জানেনা,
অনির্দিষ্টকাল চাপা কষ্ট গুলো মোড়ানো আমার-
বিহঙ্গের অনুভবের অপার শূন্যে আজ বড্ড বেদনা।

তুমি তো সেই তুমি! যার বিরহ প্রণয়ে উন্মাদ আমি-
বিরহের অধীর গর্তে অপেক্ষামান সিন্ধরাজ,
দু-চোখের অশ্রু জলের প্লাবনে আজ নদী- ভূ-কম্পের কেঁপে উঠে আমার হৃদয়- বাজে বিরহের ক্রন্দন গীতি।