রোজ বক্ষের আলপথ বেয়ে নেমে আসে
বিষাদের স্রোতধারা,
অবেলায় একান্ত একনিষ্ঠতায় কেটে যায়
বিষন্ন আমার আয়ুকাল।

ক্ষণিকের হালখাতায় চাওয়া পাওয়ার
হিসেব জুড়ে শুরু হয় একাংশ গরমিল,
তবুও তার কায়াহীন ছায়ার আলো ছড়ায় রোজ
আমার খাস জীবনের আঙ্গিনায়।

পোড়ামুখো স্মৃতিরা বেপরোয়া ভাবে
হাজির হয় আমার রাতের বারান্দায়,
তখন অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপিরা ঠাঁই
নেয় শূন্য গর্ভের অবরুদ্ধ আস্তাকুঁড়ে,
মুমূর্ষু আশ্বাসের বুলিতে নয়ন হয় অতলান্ত সাগর।

সন্দেহের বিষবাষ্প দাবানল হয়ে
ছড়িয়ে পড়ে চিত্তের অলিগলি,
দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বারুদের ঝলকানি! আর্তচিৎকারে কেঁপে ওঠে আমার দু-পাউন্ডের হৃদপিণ্ড, নিষ্ঠুর খরতাপে চুষে নেয় হৃদয়ের সবটুকু কোমলতা।

উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরুর আকর্ষকের
বিকর্ষণে গিলন করে আমার যাবতীয় অস্তিত্ব,
গহ্বরের প্রেতকৃত্য আঁধারে বাড়ে বহুমুখী ব্যথার প্রাদুর্ভাব।

সময়ের প্রয়োজনে একান্ত একনিষ্ঠতায়
কাটে আমার আটপৌরে জীবন,
বেড়ে যায় যাতনার বিস্তৃত বিনাশী অশ্রুর মহড়া। প্রায়শ্চিত্তের দাহ্য পুড়ায় চৈতন্য নিরাশার নৈরাজ্যের দহন-এ।

তাচ্ছিল্যের কষাঘাতে অপেক্ষার মিছিলটা
দিনলিপিতে ঠাই করে নিয়েছে সর্বদাই,
আঘাতের চিহ্ন ভেসে না উঠলেও অগোচরের
কষাঘাতে ঝরে পড়ে যাতনার স্বেদবারি!
তবুও বুক পাঁজরে হাপরের আর্তচিৎকারটা
বিধ্বস্ত করি রোজ গলাটিপে।