ডাকিয়া কহিলাম অবনীর তরে,তব নিধিতে মরি,
অর্পিয়াছে বিধাতা তোমারে  রাশি রাশি লহরী
এ কথা শুনিয়া মেলিলো অক্ষি-
কহিল মোরে কে তুমি লক্ষী?
তবে হ্যাঁ শোনো সত্য উক্তি মোর বিভবের সনে,
রহিয়াছে যত  মহা বৈভবে  ধনপতি মোর ধনে।

তব হে বক্ষে সমাদৃত থাকে দাম্ভিক কলরোল,
আসক্ত হইয়া নাহি করিলে সিদ্ধির গন্ডগোল।
কহিল নম্রে শোন হে দরদী-
অমত্ত- মম উদার উদধি,
পারি নাকো আজি বলিতে মম চিন্তিয়া হই খুন,
দীর্ঘসূত্রী  ললাটে আমারে,লাগিয়াছে  ওরা চুন।

কহিলাম আমি,শোন হে অর্ণব জানো কি তব হায়
মহাতরঙ্গ নিঃশেষ করিয়া, পুলিনে নিয়াছে ঠাঁই।
কহিল মোরে কোমল স্বরে-
ওহে সে দাম্ভিক- তরঙ্গ ভরে,
হিল্লোলে মোর আসিলো বিহ্বল অধিক দম্ভ করে,
দুর্ভিক্ষ হে করলো বিনাশ- বিদ্যমান মোর তরে।

তেমতি ধরিত্রী আলয় করিয়া দাম্ভিক মন্দ লোক,
দংশিত তাহারা অনুপযুক্ত লুন্ঠনে করিতো ভোগ।
ভাবি-তো তাহারা অমর-
এই অবনী করিয়া সমর,
স্বার্থের তরে  তোয়াক্কা নাহি  তুচ্ছ  সকল কর্ম,
রাখেনি উহারা কোন শৃঙ্খল বুঝেনি কাহারো মর্ম।

অবনীর বুকে   ঘৃণ্য যাহারা   সকলেই নরাধম,
উহারাই আজি   নষ্টালজিক  হিংস্র পশুর সম।
গভীরে গিয়া বুঝিয়াছি মোরে-
কহিল অর্ণব- অবনী জুড়ে,
ঈর্ষা-হিংসা,  বৈরী-বিরাগ,  --দম্ভে যাঁহারা ছুটে,
খায় বিকিয়ে মনুষ্যত্ব উহারা এই ধরাধাম লুটে।