অবনী জুড়ে ঘুরিয়া বেড়ায় করিয়া রাজ্য ভোগ
বাতায়ন খুলিয়া দেখিনি কভু গরীবের ক্ষুধা মুখ
হাউমাউ করিয়া কাঁদে-
কি খাই- কি'বা রাঁধে,
পদ্মার বুকে গিয়াছে চলে, ভিটেমাটি সব খাস
অদূরের পাড়ে চালা বিহীনা করিছে তাহারা বাস।
নিঃস্ব উহারা হারিয়াছে সব, কম্বল, থালাবাটি
রহিল শুধু একখান করে পুরোনো শিতল পাটি
বেলা অবেলা যাই-
কোথাও হলো'না ঠাঁই,
জঠরে আসিল ফুটফুটিয়া চপলা কিশোর দল
চুপসে গিয়াছে মুখটি ওদের দেহের হারিয়া বল।
ক্ষুধার কাতরে পুত্র পত্নীর, গিয়াছে নুইয়া শীর
একদা ভিজিয়া রৌদ্রে শুকায়,ছাঁদ বিহীনা নীড়।
সারা পাড়াময় শোকে-
অনাহারে যায় ধুঁকে,
দেখিবার তরে পরেনি কাহারো চরণচিহ্ন ছায়া
ধনবান যত রহিয়াছে নিরব, বিন্দু করেনা মায়া।
উঠোনের কোণে জীর্ণ উনান,জ্বলেনা উনুন তার
আহারে বিষাদ অঢেল নিশি করিয়াছে দিন পার
ক্ষুধার তাড়না বেগে-
উদিল নিষাদী জেগে,
হু-হু করে কাঁদিয়া কাঁদিয়া লুটিয়া পড়েগো পায়
উদর জ্বালা বাঁচিবার তরে এককিলো চাল চায়।