মনের আড়ালে ভীষণ অসুখ,
চোখে ভাসে ভাগাড়ের হাড়মুণ্ড
যৌবনের সোনালী সূর্য ম্রিয়মাণ,
পরাজিতদের হাতে পুনরায় রচিত হত্যাদৃশ্য,
জননীর চোখে বৃষ্টি নামে!
তাইতো আমি খুব নিরবে
দাঁড়িয়ে আছি বৃক্ষের ছায়াতলে....
সম্মুখে শাল, মেহগনি, দেবদারু সহ
নাম না জানা অজস্র বৃক্ষ
ওদের শোনাতে থাকি জীবনের দুঃখগাঁথা!
আমি বিশ্বাস করি- বুকের ভেতর বুক পেতে
শরীরের দুর্গন্ধ মাপার চেয়েও
মহত্তম বৃক্ষদের কুলপ্লাবিনী শব্দ তরঙ্গ!
ছদ্মবেশী মুখ কিংবা পাপীকে চুম্বন করে-
সন্ন্যাসিনী হওয়ার চাইতেও
দুঃখদহন-ই হোক সঙ্গী!
প্রশস্ত বৃক্ষের ঢালে দুঃখগুলো ঝরে পড়ুক...
মনকাড়া শৈশবের গল্পগুলো জেগে থাকুক শতাব্দীকাল।