বুঝতে পারিনি এতটা জটিল তুমি
শাহী জিলেপির মতই প্যাঁচানো!
রবী ঠাকুর হয়তো বুঝতে পারতেন
নারীর মনস্তত্ত্ব, তাইতো বলেছেন
"নারীর মন শয়তানের কারখানা"
তোমার- আমার সম্পর্কের সূত্রে
এমনতো হওয়ার কথা ছিলনা,
একসাথে পাশাপাশি চলা এবং
খুব সাধারণ চলনসয় জীবনের
স্বপ্নের কথা বলেছিলে....
আমি বিপ্লবী চিন্তাধারায় নিবিষ্ট ছিলাম,
নিতান্তই শরৎচন্দ্রের নায়িকা
হতে চেয়েছিলে তুমি!
ডাল- ভাত আর মোটা কাপড়ের
চাহিদাটুকুই পেশ করেছ বাববার।
তাইতো পরস্পর ভালবাসার তাগিধে
তোমার- আমার সম্পর্কের
ভীত গড়িয়েছে এতদূর!
সেই কথা আজ দিব্যি ভুলে গেছ!
আমিতো পারিনা--
বিশাল অট্টালিকার স্বপ্ন ধারণ করতে,
তেমনি পারিনা তোমাকে
বিলাসী সিল্কি শাড়ীর যোগান দিতে!
যদি বলো দিতে পারি মোটা ভাত, তাঁতের শাড়ী
বড়জোড় যৎসামান্য দেশীয় মাছের স্বাদ জোগাতে।
নিতান্তই সৎ রোজগারে কতটুকুই বা সম্ভব?
তোমার মনে কি পড়ে?
মেঘনার পাড়ে কুঁড়েঘর দেখিয়ে বলেছিলে-
এতটুকুতেই আমার চলবে!
মনে কি পড়ে?
একদিন গ্রামের আলপথে-
থালাভর্তি ভাত, শাক, কাঁচামরিচ
নিয়ে এসেছিল কৃষক বধু...
স্বামী কৃষকটি দারুণ তৃপ্তি ভরে খাচ্ছিল!
তুমি আমাকে তেমনই স্বপ্নের কথা বলেছিলে।
আশ্চর্য, খুব সহজেই সেইসব ভুলে গেছ তুমি!
সেদিন যদি তোমার এই
জটিল- দুর্বোধ্য মনস্তত্ত্ব বুঝতে পারতাম,
সত্যি বলছি আজ বিপ্লব পরাজিত হতোনা!