মৃত্তিকা, তোর বুকে আজ স্পষ্টত দেখতে পাই মেঘবৃষ্টি,
ভেজাবে পোড়াকাঠ, সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা দেবদারু, শুঁড়ি পথ!
কিছুটা চোখ মেখে তাকাবে অচল জানালা,
পায়ের ছাপ রেখে হাঁটবে শতাব্দী পুরোনু প্রাসাদ,
মুছে যাবে দেহের ঘাম, ক্রোধ নষ্ট বাতাসের গন্ধঘ্রাণ!

দৃশ্যত জলের তোড়ে ভেসে যাবে- নিদারুণ শুষ্কতা
মৃত্তিকা, তুই আজ ভীষণ সতেজ নির্মল নিষ্পাপ!

তোর- সতেজ ছোঁয়ায় আমিও ভিজতে চাই
অনির্দিষ্ট আদিম নেশায় অবিরত জেগে উঠুক
আমার বিষণ্ন আঙিনা, নিভে যাক বিষাদের নীল শিখা!

তোকে আজ পড়িয়ে দেবো নীল শাড়ি, নীল টিপ
গোলাপি ঠোঁটে এঁকে দেবো অজস্র চুম্বন!
তোর আলোকজ্বলা মুখ থেকে আলো ছড়িয়ে-  জেগে উঠুক আরেক বসন্ত।