চিলমারী হতে নদী পথে যেতে রৌমারী,
খেয়া পারে ”সন্ধ্যা যে হ’ল-রে চলো তারা তারি”।
ধরলা নদীর মিটিমিটি স্রোতের কূল বায়,
’কুঞ্জলতা’ আমার পাড়ের তরী ভেসে যায়।
সবুজ ঘেরা নীড় গুলো সব তীরের শোভা ধরে,
ঈষাণ জুড়ে মেঘের সারি ঝড়ের নিশান উড়ে।
কিষাণ বনের বিদায় গানে সূর্য ডোবা পায়,
মাঠের ফসল, ঘাটের মাঝি গাঁয়ের পথে চায়।
কোমল শীতে মলিন স্রোতে ধূসর আঁধার ঝড়ে,
ক্ষেতে ক্ষেতে মায়ার বদন, নয়ন কাজল করে।
মোহন সুরে ঢেউয়ে উড়ে চরের আঁচল খানি,
শ্যামল শোভায় কী অপরূপ আমার জন্ম ভূমি।