আমি খুঁজি ফিরি রূপজীবাকে তোমাদের ভীড়ে।
ধরা পড়ে না আমার ক্ষুদ্র চক্ষুতে,
আলাদা করতে পারি না আমার রূপজীবাকে।
মাঝে মাঝে মনে হয়,
তোমাদের মাঝেই ; রূপজীবা আছে লুকিয়ে।
তোমরা দাও নি প্রকাশ করতে,
যদিও বেড়িয়ে এসেছে, গিয়েছো এড়িয়ে।
কিংবা,ডিম্বকেই সৎকার করে ফেলেছো গোপনে।
জানি,ক্রুর হাসি হাসছো সন্তর্পণে,
চক্ষুর ভীড় ঠেলে চলে গিয়েছো শূণ্য কোলাহলে।
যেদিন তোমার সুপ্ত লাভা বিস্ফারিত হবে
আমার চক্ষু ঠিক চিনে নিবে,
টেনে নিবে তোমার স্বর্গ থেকে।
ঘৃণায়, চক্ষু দিয়ে আগুন ঝড়বে,
মুখ দিয়ে লালার বদলে বিষাক্ত থুথু বের হবে।
যে অহংকার তোমার ছিল শরীরে
বিষে বিষে ভরিয়ে দিবে
তীব্র থেকে আরো তীব্রতরে।
গুপ্ত রুপজীবা;  সকলের তরে তুমি রূপজীবাতেই পরিচিতি পাবে।
দেবতা কলির অবৈধ কামে
দময়ন্তীর ন্যায় জীবন অভিশপ্ত হবে।
ওহে প্রিয়,লুকায়িত রূপজীবা
অন্ধকার থেকে ফিরে এসো আলোতে,
আমার চক্ষু ক্লান্ত হওয়ার আগে।
তুমি জানো কি জানো না!
বিভৎস লাগে তোমায় অন্ধকারে।
রূপজীবা তুমি ফিরে এসো
দেবতা কলির শকুনদৃষ্টির পূর্বে।

সাঞ্জু
দর্শন বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ