চৈত্র-বৈশাখের উত্তপ্ত দাবদাহে
কালবৈশাখী ঝড়ের পতন শেষে
কদমের দোলে দোলে বর্ষা এলে
নেমে যাবো অঝোর ধারায় বয়ে যাওয়া গঙ্গায়।
পূণ্যতায় পবিত্রতা মেখে নেবো গায়
তুমুল বেগে বজ্রপাতের শব্দে
হুঙ্কারে হুঙ্কারে গর্জে ওঠা কোন এক সন্ধ্যায়।
আকাশ পানে চেয়ে
একটা ঘন সবুজের জীবন বেয়ে
সতেজ প্রাণে শীতলতা মেখে
নেমে যাবো;নতুন কোন উদ্যমের সন্ধ্যানে।
আসছে বর্ষায় আবার আমি ঘন বর্ষণে
অঝোরে ঝরে যাওয়া অশ্রুস্নাত বৃষ্টিপাতে
আহুতি দিবো নিজেকে,
নতুন ভাবে নবাগত দিনের হাতে।
বুকের ভেতর শত কোটি বছরের শত শত কালো মেঘ;
ছিন্ন হৃদয়ের ভেতর নিজের সাথে যুদ্ধ চলা যত বিভেদ
লাঞ্চনার ভেতর বড় হতে থাকা শূন্যতার আছে যত ক্লেদ
আমি বিবস রজনীতে বসে বসে অঙ্ক কষে
আমি;মৃত্যু লিখবো , বিষাদ-বিবাদ-বিলাপের।
অপেক্ষায় থাকি-
কোন বসন্তে তীব্র বর্ষণ হলে
দীর্ঘ যোগাযোগ হীনতায় ফুঁসে ওঠা-
অপ্রাপ্তির যত ক্ষত, অভিমানের যত অভিযোগ
ঘুচে যাবে সব; একটা স্নিগ্ধ কোমল ঈশ্বরীয় স্নানে।
তবে কোথায়?
নেই তো কোথাও তবুও খুজে আপ্রাণে
এই বুঝি,প্রাণের সঞ্চার জাগবে এইক্ষণে-
আরো একটা শকুন দৃষ্টি পড়বার আগে,
হায়নার থাবায় দেহ নিথর হবার আগে;
ফিরে পাবো প্রিয়জন, প্রিয় মুখ সে
যেমন দেখেছিলাম শত কোটি বছর আগে।
তবে কোথায় সেই অলীক বর্ষা?
নেই তো কোথাও;এতো কিছু পরে, তবুও তো-
ভেবেছিলাম সমস্ত গ্লানির পরে
সাদা কাশফুলে সজ্জিত হলে
একটি বিশুদ্ধ শরৎ দেখা দিবে,
নীল আকাশে অন্নপূর্ণা হেসে উঠবে
সাদা বকের সাথে আসবে নেমে
সাদা মেঘের ভেতর সোনালী চিল সে
স্বয়ং সপ্ত স্বর্গ হতে।
কিন্তু কোথায়?
কোন শরৎ নেমে আসেনি।
যৌবনে ভাঁটা নেমে আসে, অথচ;
কোন বসন্তকে ছুঁতে পারিনি,
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর গুনি,অথচ;
কোন কোকিলের কুহুধ্বনি শুনিনি।
তবে এসেছিল আমার যৌবনে ভরা ভাদর
শীতের রিক্ততা আর শুষ্ক চুম্বনের দারিদ্র্য
আমায় আলিঙ্গনে অভিবাদন জানিয়ে ছিল
অসময়ে অকাল মৃত প্রিয় ভালোবাসা।