সৃষ্টি হইলো ধরণী, খোদার নূরে মুহাম্মদির ঘর্ম দিয়া,
খোদার তরে সেজদায় আহম্মদ মাথা নতো করিয়া ।
তিন ফোটা ঘর্ম দিয়া শুরু অনাবৃষ্টি,
বৃষ্টি শুরু হইলো সমুদ্র অদৃষ্টি ।
নোনা সাগরে হইলো ফেনা,
এ ফেনা থেকে হইলো একটা বালি কনা ।
এক কনা থেকে হইলো সত্তর হাজার করে কনা,
এভাবে বারিতে লাগিলো বালি কনা,হইতে লাগিলো পূর্ন ভূমি ।
তখন কম্পন হইলো ভূমি, সাগরের ঢেউয়ের তান্ডপে রুপি ।
ঊনত্রিশটি পাহাড় শিকল দিয়া নিযুক্ত এক ফেরেস্তা,
তখন থামিলো কম্পন,খোদার এ খেলা কারো নাই বোঝার কোন আস্থা ।
খোদার ইচ্ছা আদম হবে,মাটি আনলো মালকুল মওত ।
আদম আসলো সবাই খুশি জন্নাতের ওই রওত ।
খোদা কহিলো হে ফেরেস্তারা সেজদা করো আমার আদমের কাছে,
তখন ইবলিশ বলিলো করিবনা সেজদা,আদম হইলো আমার নিচে ।
খোদার করুনা থেকে ইবলিশ হইলো অভিশপ্ত,
একাকি আদম জান্নাতে করিলো আধিপত্ত ।
ইবলিশ কহিলো হে খোদা আদম সন্তানকে করিব ধংস তোমার অগ্নি শিখায়,
খোদা কহিলো হে পাপী,আদম সন্তান করিবে তওবা দিবো জান্নাত আমার ভিক্ষায় ।
আদমের দুঃখ দূর হইলো,আশিলো হাওয়া বাম পাজরের হার দিয়া,
বিয়ে হইলো জান্নাতে মহরানা দশবার কালেমা পাঠ করিয়া ।
সুখ সহিলোনা ইবলিশের ধোকায় গন্দম খাইয়া,
খোদা কহিলো তোমরা পাপী যাও জান্নাত থেকে বের হইয়া ।
জান্নাত বের হইয়া আশিলো মৃত্যুপুরীতে,
চারশত বছর কাদিয়া তওবা মাফ করিলো এ ধরনীতে ।
খোদা মাফ করিলো,সাক্ষাত হইলো বিবি হাওয়ার সনে ।
জীবন ধারন করিতে লাগিলো,ইবাদত ও আহার উপার্জনের খনে ।
তাদের দারা হইলো সোয়ালক্ষ নবী,
শেষে আশিলো মুহাম্মদ (সাঃ),পরিবর্তন হলো এ ধরণীর ছবি ।
ফরজ হইলো নামাজ,রোজা,হ্বজ ও যাকাত ,
পুলসিরাতে তার সাফায়াত ছাড়া কেউ পাবেনা নাজাত ।
আরশে বসিয়া খোদা বিচার করিবেন,
পাপ পুন্যের আমল সবার হাতে তুলে দিবেন ।
ইসরাফিল (আঃ) যখন ফুক দিবেন বাঁশি,
তখন ঈমানদার ব্যাতিত কাহারো মনে রইবেনা কোন হাসি ।
ঈমান ও বেইমানের আমল দিবে মিজানের পাল্লাতে,
পাপ পূন্যের বিচার করে দিবে জান্নাত ও জাহান্নামের খল্লাতে ।
তখন নবি ইয়া উম্মাতি ইয়া উম্মাতি বলিয়া কাদিবেন,
খোদার নিকট সেজদায় রত হইয়া ক্ষমা চাহিবেন ।
অন্তর আত্মা কয় সেদিন যদি হই উম্মত নবির সাফায়াতে,
সাফল্যের জীবন পাবো খোদার কুদরতি ওই হাতে ।
তখন শুকরিয়া জানাবো খোদার চরনে,
শুধু ভালোবাসবো নবিকে মনের আবরনে ।