ছিয়াত্তরে মনান্তর আমি দেখেনি বটে
শৈশবে কিছু আচঁ আমিও বুঝেছি
ভাল কিসে আর মন্দই বা কি?
ক্ষুধা যে উদর জ্বলে চিঠা চালের ভাত
কতটা যে মিষ্টি ছিল।
আজ গায়ে গোতরে মাংস পিন্ড বেড়েছে
পরিশ্রম নেই, নেই ক্ষুধার জ্বালা
ক্ষুধার জ্বালা দেহটা তরতর করতো বটে
হাসির ছটা  তো উঠানে ছড়িয়ে ছিল।
মানুষ কি তবে ক্ষুধায় মরে!

মানুষের প্রেম যে মানবের তরে প্রান্ত জুড়িয়া ছিল।পাপ - পূণ্য কিসে হিসাব কেবা করে,
বন্ধন ছিল মাতা- ভগ্নিতে ভ্রাতা কুলে
ছেড়ে গেলে টাকার মায়া ভালবাসা কেবা বুঝে। না না যাব না প্রেম যে অভিশাপ
তোমারদের কাছে।

রাতের তারা গুলো কত কাছে কারো নেই
ফিরে যাওয়ার তাড়া
আমি ও যে মানুষ নই বাঁধন হারা।
প্রেমে হেরেছি প্রেমে হব জয়ী মানবের তরে
আপন- পরে কেবা ভুলে
আজ আমি আপনিতে আপনা।

জন্মদিল যে জন্মদাতা ধরিল যে গর্ভে
স্বার্থের কাছে তারাও তো আপরাধী ভাবে
পূণ্য ধামে শুণ্য যখন
মায়াময় প্রকৃতি মায়া পর করে ফেলে
বিবাগী করিয়া যারা ঘুরেছে শহর - বন্দরে
ফিরিবার আকুতি হৃদয়ে জাগে-
অনাদর- অবহেলার পেরেক বিধেছে
আপন বুকে।
ভাল থাকুক উঠানের আম- কাঁঠালে ছায়
আত্নার বন্ধুরা আমি হইবো পর
আমি ও যে মানুষ বুঝাবার সাধ্য
নাহি যে আর।