একদিন তুমি পাখি হতে চেয়েছিলে
আর আমি হতে চেয়েছিলাম বৃক্ষ,
অতঃপর তুমি হলে পাখি, আমি হলাম বৃক্ষ।
তুমি আমার কাছে আশ্রয় চাইতেই
আমি মেলে দিলাম প্রসস্থ বুক, তুমি বাসা বাঁধলে!
খাবার চাইতেই ডালে ডালে এনে দিলাম ফল
বিনিময়ে তুমি আমায় গান শোনালে,
আমিও ভালোবেসে উপহার দিলাম ফুল।
কিছুদিন পর তোমার ঘরে এলো নতুন অতিথি
তাদের যত্নে তুমি হয়ে উঠলে ভীষণ ব্যস্ত,
চৈত্রের দুপুরে ক্লান্ত শরীরে আমি ঘুমিয়ে পড়তেই
তুমি তাদের সাথে ঘর ছেড়ে পালালে,
অতঃপর আমি হয়ে গেলাম একা!
একে একে ঝরে পড়লো পাতারা
ভেবেছিলাম তোমার শোকে আমি মারা যাব, কিন্তু না!
মৃত্তিকা ভালোবেসে আমাকে সারিয়ে তুললো
আমি হয়ে উঠলাম পুনরায় সজীব।
কিছুদিন পর তুমি আবার এলে
আবার বাসা বাঁধতে চাইলে আমার বুকে,
আমি পুরনো দুঃখ ভুলে তোমাকে দিলাম ঠাঁই!
তুমি অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলে
প্রতিশোধ নিবে না? আমি বললাম 'না'।
তুমি পুনরায় জিজ্ঞেস করতেই
আমি বললাম, "পাখিরা চিরকালই স্বার্থপর
আর বৃক্ষরা নিঃস্বার্থ প্রেমিক।"
বিঃদ্রঃ [কবিতাটি ২২ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক যুগের আলো পত্রিকায় প্রকাশিত।]