তোমায় লিখছি-
লিখছি তোমার নরম উষ্ণ ঠোঁট,
ছিটিয়ে দিচ্ছি লাল গোলাপের রঙ,
ঠোঁটের নিচে লিখছি ছোট্ট তিল,
ঠোঁটকে নিয়ে লিখতে লিখতে লিখছি তোমার হাসি,
হাসির সাথে লিখছি গালের টোল,
তোমার গালে আলতো ছুঁয়ে বুজিয়ে দিচ্ছি চোখ।
এখন তোমার চোখকে নিয়ে লিখছি-
খুব যতনে পরিয়ে দিচ্ছি কাজল,
লিখছি তোমার চোখের ভ্রু, চোখের পাতা নিয়ে,
এখন তোমার চোখে আঁচড় কেটে-
খুলছি তোমার মায়াবী হরিণ চোখ,
তোমার চোখকে নিয়ে লিখতে লিখতে প্রেমে ডুবে যাচ্ছি-
হারিয়ে যাচ্ছি জগত থেকে দূর;
এই কী তোমার চোখ! নাকি সমুদ্দুর?
আবার তোমায় লিখছি-
লিখছি তোমার কপাল এবং চুল,
তোমার চুলে প্রেমের সুবাস প্রচুর
শুঁকছি যত হচ্ছি ততো তোমার প্রেমে মশগুল!
তোমার চুলের সুবাস মেখে হারিয়ে যাচ্ছি ধীরে
ঘন কালো চিকন চুলের ভীড়ে;
কোনো মতো শান্ত হয়ে বসে -
আদর করে কাটছি চুলে বিলি,
বেণী করে বেঁধে দিচ্ছি চুল
কানের উপর গুঁজে দিচ্ছি ফুল,
আবার বাধছি চুলে খোঁপা;
লিখছি যত লাগছে তত তোমায় অপরূপা।
এখন তোমার দেহের গড়ন নিয়ে
লিখছি আমি প্রেম উপমা দিয়ে,
দুধে আলতা তোমার গায়ের বরণ
লিখতে লিখতে লিখছি তোমার চরণ,
ভালোবেসে পরিয়ে দিচ্ছি নূপুর;
নগ্ন পায়ে যাচ্ছো তুমি হেঁটে-
তোমায় নিয়ে লিখছি যত যাচ্ছে সময় কেটে,
সকাল গেলো- এখন উদাস দুপুর।
তোমায় নিয়ে এখনও বেশ লিখছি-
কুচি করে পরিয়ে দিচ্ছি শাড়ি,
লাজুক চোখে চেয়ে তুমি করছো মেয়ে আড়ি?
ঠিক আছে আর লিখবো না সোনার ময়না পাখি,
একটুখানি লেখাই শুধু রয়ে গেলো বাকী-
যদি অনুমতি তোমার পাই -
সেই লেখাটি লিখতে চাই,
আঁচল টেনে মাথার উপর তুলে দিবো ঘোমটা
তারপরে ফের তোমায় নিয়ে লিখবো সোনা বউটা।