যত্নে লাগিয়েছি বৃক্ষ, নাম তাঁর বৃক্ষ দেবী
বৃক্ষে ফুল ফুটে, পাখি ডাকে, বাতাস বহে
পুষ্পরা দোল খায়, হাঁসি তে হাঁসি তে রত্ন ছড়ায়,
তুমি-আমি শিখরে আরোহন করতে চেয়েছি বহু বার,
অথচ?
অচেনা পথিক জোড়া বেঁধে ঘ্রাণ নিচ্ছে শরীরের,
সঞ্চারিত করছে ব্যথা! কত আকুতি আর্তনাদ,
দেখো,-
পুষ্প কাণ্ড দোলায় তাদের রকমারি কান্ড যেথায় সেথায়
উদ্ভূত মেলামেশা, ভ্রমরের গুঞ্জন ডালে ডালে পিপীলিকা’র
কমিটির সদস্য আনন্দে আত্মহারা নিউটনের সূত্র ধরে
কত গবেষণা করছে, আর কত করছে খেলা।
-
তোমার-আমার বৃক্ষ দেবী, আজ বড্ড আচার্য বহুরূপী !
ক্লান্ত লোক জনকে দিচ্ছে ছায়া, কুঞ্জলতা ও পরগাছার বসবাস,
একটু জায়গা হচ্ছে না তাঁর কলে আমাদের,
-
নদীর জল নিয়ে যখন দিতে দু'হাতে বৃক্ষ দেবীকে
তৃষ্ণা মেটাতে সে!
বলত!!!
জ্বালা জুড়ালে সখি,
বড্ড তৃষ্ণা মেটালে,
সেই কথা ভুলে গেছে,
সমস্ত যন্ত্রণা থেকে অবসান পেয়ে,
স্বার্থ ফুরালে অন্য ঘরে যায় জগৎ-
সংসারে চমক দেখিয়ে দিলে তুমি বৃক্ষ দেবী?
তৃষ্ণা মেটালে না অভাগিনীর।
বৃক্ষ দেবী তোমারও একদিন নিঃশেষ হবে,
পাতা, ডাল, দেহ আগুন- যন্ত্রনা ভোগ করবে,
তখন, বেদনার আত্মকাহন উপলব্ধি করবে নিশ্চয়।