একটি নির্ঘুম রাতের গল্প বলি, শোনো!
পাড়ার সবাই ক্রান্তির লগনে ঘুমিয়ে নিভৃত,
জেগে আছি শুধু আমি—
একাকী, রাত্রির গাঢ় অন্ধকারে
জোনাকির আলো দেখবো বলে।
দুই চোখ ক্লান্ত, ঝাপসা আলোয় তিমির অন্দকারে,
তোমার অপেক্ষায় প্রতিটি প্রহর কাটে,
গোপনে, নিঃশব্দে!
অমাবস্যার চাঁদের ক্ষীণ কিরণে
ভাবি, হয়তো তুমি ফিরে আসবে,
কোনো এক বৈশাখী দমকা হাওয়ার সঙ্গে মিশে।
দ্বিগুণ জ্বলে ওঠে জোনাকির আলো,
"মুখশ্রী" ওগো তোমার—
সে যে মায়াবী হাসি,
যেন কোন কুসুমের কোমল স্পর্শ!
বৃক্ষছায়ায়, লতা-পাতার ফাঁকে
অধীর হয়ে ডাকে,
ডাহুকের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় নতুন প্রজন্মের বুলি।
আমাদের মিলনের, সেই পরিচিত স্থানে
ডাহুকের দল আজ অধির হয়ে ডাকে,
পাখিদের সুর আর লতাপাতার মর্মর ধ্বনি
গাছেরা প্রজন্মর পর প্রজন্ম সাক্ষী হয়ে রয়েছে,
আমাদের স্মৃতি বিলুপ্তির পথে,
তবু তুমি ফিরে এলে না—
আমি শুধু অন্ধকারে একাকী নিভৃত জাগী!
ভাবনারা গল্প বলে, পাখিরা গেয়ে ওঠে,
অমাবস্যার চাঁদ কখনো লুকায়, কখনো জাগে,
জগৎ সংসারে খেলা করে আলো-আঁধারের ছায়া,
অশান্ত সময় সঙ্গ দেয় আমাকে,
তবু আমার হাতে সময় কম—
গল্প বলা বাকি রয়ে যায় অনেক, অনেক
সারাক্ষণ অস্থির আমি,
এই নির্ঘুম রাতে...।