অন্ধকার পাড়ি দিয়ে সমস্ত যন্ত্রণা ভুলা তে
ডাকিলো সেই কবে একটি নারী বিষাদ ঢাকিতে
নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল আবরণে মুক্তিকায় নেমে আসে পরি
সেই আর কেউ নয় সে মালিনী।
রূপ তার নীলাভ ব্যথিত কুয়াশার সাদা সাদা আভার শুভ্রতা
সেই কবে, ডেকে ডেকে যন্ত্রণা ভুলা তে এসে ছিল,
মাঘের সন্ধ্যায়, বরফ গলা নদীর কিনারে একা ছিলো দাঁড়িয়ে,
ব্যথিত হৃদয় ও হৃৎপিণ্ড বরফ ঠাণ্ডা!
একটু উষ্ণতার জন্য স্পর্শ পরশ ও অন্ধকার কাটাতে এসেছিল মালিনী।
তাকে পেয়েছিলাম ক্লান্ত পথিকের বেশে কুয়াশার আঁধারে
তরুলতার চারিধারে পেঁচা ডাকে খুব অন্ধকারে।
দুই খানা হাত তার হিম;
চোঁখ তার রক্তিম যৌবনের তরী
জোনাকির আলোয় দেখেছিলাম যতটুকু
তারে একবার পাইলাম আর নাহি পাবো
মালিনী আসে মাঝে মাঝে স্পর্শ হীনতায়
কেটে যায় কুড়ি কুড়ি বছর ।