সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে,
অবশেষে ঠাঁই মেলে নিস্তর দেহের,
পাখিদের কলরব, ঝিঁঝিঁ পোকার গানে
মিটিমিটি জোনাকির আলো অমাবস্যার অন্ধকারে,
লণ্ঠনের আলোয় ক্ষুধার্ত আমি নিঃশেষ প্রান্তের দৌড়ে।
আপন বলতে কেউ নেই!
আকাশের চাঁদ-সূর্য, মাটির বৃক্ষরাজি,
ফুল-ফল, পাখ-পাখালি, পিপীলিকা, মশা-মাছি আপন সঙ্গী-সাথী!
সারাদিন খাটুনিতে শরীর বড্ড ব্যথাতুর,
তেল-মালিশ নিত্যদিনের সঙ্গী আমার, মাদুর পেতে শুয়ে থাকি
সারা রাত্রি তারাদের সাথে কথা বলি।
মৃত মানুষদের সাথে বসবাস,
দূর থেকে নদীর জলে শব্দ!
বাঁশি ভেসে যায় দূর থেকে দূরান্তে রাত্রির গায়ে,
আদর মেখে ডাকে আমায় দূর অজানা প্রজাপতি।
নিশার ঘরে দিশারী তুমি, বুকভরা জল,
আস্তর সাজিয়ে বসে রইবে কে?
জীবনে যার শুধু হাহাকার,
কষ্টের তীব্র আঘাতে আঘাতে পেয়েছি বারংবার,
মানুষ নয়, শঙ্খচিল কভু পেঁচার দল।
সঙ্গ ভেবে ঢং দেখি রঙের আস্ফালন,
সুখের চাদরে আদর নেই অর্থের অভাবেই।
প্রভাতে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে ছুটি মাঠের ধারে,
স্বপ্ন বুনি চাষাবাদে ভবিষ্যৎ কল্পনাতে,
মানুষ নাকি কল্পনাতে করছে পৃথিবী জয়,
চিরসবুজ মাঠ, দৃষ্টি যতদূর যায়,
হাহাকারের বুকভরা চৈত্রের খরাতাপে।