আমারে হজ্ঞলি কইছে তহন, হুনি নাই!
অহন হারে হারে ট্যার পাইতাছি,
কীসের বড়ি যে খাইছিলাম!
হগগলের কথা হুনলে আইজ অ্যামুনডা নাও হবার পারতো,
হুদাহুদি পিরিতি মারাইতে গেছি, কষ্টে অহন বুকটা ব্যাদনা করে,
সেমরির মায় কইছিলো;
বাপুরে, আমার বাপ মরা মিয়াডা ছুডো আছে
আর কয়ডা দিন ছবুর কর,
একটু ডাঙ্গর হবার দেও!
আমি হালায় হুনলামই না,
হুদাহুদি বেডিরে বকা দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে দৌড় পারছি!
অহন বুঝবার পারতাছি, হেই বেডি ঠিকই কইছিলো,
হালায় বেডি তো ছুডোই, নাক টিপলে দেহি দুত পরে!
পিরিতি বুঝে না’রে, আউলা ঝাউলা গালি মারে,
লজ্জা শরম নাই! তামাসার ঢেওনে ছুডাছুডি করে,
হাত ধরলে চুলকডা ছাইড়া দেয়,
অহন আমার বইসা থাকলেও ভালা ঠ্যাহে না,
হুয়া থাকলেও ঘুম আহেনা!
মনডায় খালি ছট্ফট্ ছট্ফট্ করে…
এইয়্যান্নিগ্যে মনডারে ধুপুর ধুপুর নাত্তি মারবার কই বন্ধু হগলরে!
পরাণ যহন পুড়ে- হেতা সেথা বইসা বইসা থাহি
বিশুল্ল্যাহ কামুর দিলে যেমুনডা ঠ্যাহে
ছাইড়া যাইবার নিয়মডা বড়ই অদ্ভুদ ছেমরির।
কইছিলাম তাঁরে, দক্ষিণা ছাড়িল বাও, বানিয়া ছাড়িল নাও,
যাইওনা তুমি, ফিরা আ-ও।
আইলো না, আমি আইলে দাঁড়াইয়া দেহি- ঢং আর ঢং,
বাতাসে নরে চরে ফরিং
নাও লইয়া ফস্ ফস্ শব্দ কইরা চইলা গেলো উজান তলির গাঁও!
আমারে হগগলি কইছইলো তহন, হুনি নাই!
বেম্যালা হুনছি কথা! পরছি তো ফান্দে,
মনডায় তাই কান্দে!
সন্ধার কালে হান্দাইয়া গ্যাছি কেওয়া ঝুফা আন্ধারে,
বাত্তি নিবাইয়া- চিত হয়া হুইয়া রইছি,
বেইন্ন্যাবেলা পিরিতের ছ্যাকায়, আহারে, হগগলি কইছিলো, হুনি নাই!
হুনলে এমনডা নাও হবার পারতো।