নিষুপ্তি অষ্টপ্রহরে ধরণি ঘন নীর, তনু ভিজিয়ে স্পৃহা জাগে কামিনী।
আয়ত্ত করে মানবিকা, অষ্টপ্রহর অঙ্গ ইন্দ্রালয়, বাহু মৃত্তিকায়।
আশ্রয় দিও গভীর গহনে, চপলা ইন্দুর লগনে।
তরী ফিরাবে কি রিক্তহস্তে, অভীক সংগোপনে?
শক্ত আকৃতির ঈপ্সা, তুষ্টি মেলেনি নন্দিনী।

আমিত্ব আকাশছোঁয়া, নিয়তি প্রখ্যা-প্রচার চাইনি কখনো।
জাত-শ্রেণী ভেদাভেদ, বহ্নিশিখা আঁধার, কালো অন্ধকার দাওনি।
তবুও যথার্থ অদৃষ্ট দিয়েছে ইলাহী।
সুউচ্চ সুধাময়— জননী, অঙ্গনা, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ করেছো জগৎ-সংসারে।

মানব কর্তৃত্ব প্রয়াণ, অহ অহ, তবুও ধারণ করে না অবয়ব।
সুবর্ণ, লোহিত, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ— তনয়-তনয়।
অভিরাম ছুটে চলা, বৃত্তি লয়ে।
স্রোতস্বতী, শতদল, অম্বুনীর, পুষ্প, তরুলতা—
কুন্তল ঝুলিয়ে প্রকৃতি সাঁঝে ধরণির বুকে বিশ্ব।

সমগ্র ভূ-মণ্ডল, রাশি রাশি কিরণ,
বিধান-কানুন, আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অমর, স্থায়ী।
আমিত্ব বপু, মৌলিক অভিলাষে,
সৃষ্টিকর্তাকে ভ্রান্তি করতে পারি না—
শ্রেষ্ঠ, সেরা ভাগ্য নিয়ে জগৎ-সংসারে,
মনুষ্য হয়ে বিশ্ব ভূখণ্ডে।