হুঁ হুঁ করে বাড়ছে বয়স, কুয়াশা চারিধারে! তিমির রজনীতে,
ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে ভাবছি, আপাতত প্রক্তনের স্মৃতি,
গোধূলির আলোয় হারিয়ে গেছে গহীন অরণ্যে
ঠিক তখন? পাখিরা ঘরে ফিরে, আলো-আঁধার খেলা করে,
জীবন প্রচুর আশাহত, স্মৃতিরা কাঁদে গভীর রাতে,
সময়ের চক্রবাক এখন পরিচয় প্রাক্তন।
দুমড়ে-মুচড়ে গেয়েছে গাঁ, সাথে তোমাকে দেওয়া গাদা ফুলের মালা,
শুকিয়ে গেছে বহু আগেই, তখন ছিলো জ্যোৎস্না ভরা তারুণ্য
উজ্জ্বল বলিষ্ঠ, উদ্দাম নৈঋত গম্ভীর কণ্ঠ,
ডাহুকের ডাকে কত ডেকেছি? চিলেকোঠার আড়ালে গোপন রূপে,
সময়ের চক্রবাক এখন পরিচয় প্রাক্তন।
খুব ভোরে জেগে ওঠার জন্য বাজতো রিংটোন
নিয়ম করে হত আলাপন, এখন শুধুই দীর্ঘশ্বাস,
যুগ-যুগান্তর আক্ষেপ, না দেখা বেদনার বিলাপ,
সময়ের চক্রবাক এখন পরিচয় প্রাক্তন।
সব পাখি ঘরে ফিরে, সূর্যের আভায় কুয়াশা কেঁটে যায়,
সব নদীতে ভরা যৌবন আসে বর্ষায়, গাছে পত্র দেয় ঠিক বসন্তে,
শুধু সময়ের চক্রে প্রাক্তন ফিরে আসে না আর...
হুঁ হুঁ করে বাড়ছে বয়স, যৌবন শেষ প্রান্তে
প্রাক্তনের স্মৃতি আগলে রইনু বসে,
এসে যাবে পরপারের ডাক।