আমার খোকা প্রশ্ন করে
জানতে আমার কাছে,
"ভূতের মাথায় কয় জোড়া চোখ
কয়টা বা কান আছে?
নখগুলো কী ইয়া বড়ো
হাতির মতো দাঁত?
ভূতের দেহে কয়টা থাকে
বলো দেখি হাত?
ভূত কী কেবল পুরুষই হয়
নাকি আছে নারী?
জামা লুঙ্গি সবই পরে
নাকি শুধু শাড়ি?
ধ্যেত্তরি ছাই চুপটি করে
আছো কেন বলো?
ত্বরা করে ভূতের কাছে
আমায় নিয়ে চলো।
জানতে আমার হবেই হবে
আসল ঘটনা,
ভূতের নামে এ-সব কারা
করলো রটনা?
যাকেই শুধাই সেই তো বলে
দেখে নি তো সে,
তবে আমায় বলো শুনি
দেখলো এটা কে?
দিদা সেদিন বললো আমায়
ভূতের বিশাল পা!
এক নিমিষেই আস্ত মানুষ
গেলে ভূতের হা!
সে ও নাকি দেখে নি ভূত
গল্পে শোনা সব।"
ভূতের বিষয় জানতে খোকার
দেখে কলরব।
আমি বলি, "শোন খোকা
ভূত আসলেই মিছে,
ভূতকে যিনি ভীতি করেন
ভূত ঘোরে তার পিছে।"
খোকা বলে," মনে আছে
সেদিন সন্ধ্যা বেলা,
তুমি আমি গিয়েছিলাম
সুজন দীঘির মেলা?
সেখান থেকে ফেরার পথে
চিতল তলায় এসে,
ভূতের ভয়ে কেঁদেছিলে
নয়ন জলে ভেসে!
এখন আবার ভূত মানো না
বলছো এটা কী?
এমন কথা তোমার মুখে
হায়রে ছিঃছিঃছিঃ!"