অতৃপ্তির রোদনের জলোচ্ছ্বাসে মন্থন করে গেছে সঞ্জীবন,
কালস্রোতে ধ্বংসের অসম্পৃক্ত জৌলুষে
দ্বিধাহীন মনুষ্যত্বে বিস্তৃর্ণ যুগের নগণ্য প্রলাপ বিলাপে
প্রশান্তিয় বিবাগীর আবিষ্ট বন্ধনে ষড়রিপু কদর্যের সীমানায়
নৃশংস নরপিশাচী রাহুর ছোবলে অসংখ্য বিনোদিনীর
দুঃসহ নিদারুণ আর্তনাদের
প্রান্তিয় অহমিকায় অনাকাঙ্খিত হৃদয়ের অতৃপ্ত জঠরের কামনায় নিঃস্ব।
ভয়ার্ত তন্ত্রীতে জীবন নাশা তানে মোহিত চিরন্তনী
অন্তরিক্ষের বন্ধনের সখ্যতা আনায়ন করে
নিশ্চিত সংকেতে নিকৃষ্ট পিশাচের মতো অসংখ্য মহীয়সীর
বিস্তৃতির অভ্যন্তরে অথবা সংকীর্ণ চাহনিতে
নিমজ্জিত বেঁচে থাকা বিতন্দ্রার প্রভাবে।
নিদারুণ পিপাসার দুঃসহ মরুর সীমান্তের দ্বারে দ্বারে
শুধুই ঘাতকের পদাঘাতে
জীর্ণ হৃদয়ের লুপ্ত পরিক্রমায় অবরুদ্ধ রজনীর
ভ্রান্তিয় ব্যঞ্জনায় দামামায় বাজে বিদূর জলোচ্ছ্বাস।
জঘন্য মনের বাসনায় অবিরাম স্বার্থের মিছিলে
আত্মার নিভৃত কান্নায়
জ্বলে গেছে জগৎ সংসার,
কূল পাবার নেই কোনো তরী আর-
অকুলে তাই ভেঁসে যায় কুলের প্রত্যাশায়...