মুক্তক অক্ষরবৃত্তেঃ
জীবনের তামাদি খাতার পৃষ্ঠাগুলো উল্টাতে উল্টাতে
সূর্য ওঠার আগেই শিশিরের মতো ঝরে গেছে যারা
তাদের নিয়েই কয়েক বছর আগে বিস্তর সভার
পত্তন করেছিলেন তিনি, তথাপি বড্ড আশ্চর্যের বিষয়
সভাপতি হতে কেউ রাজি নন সে সভায়! অধিকন্তু সবাই জোর করেই একজনকে
সভাপতি করে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দিলেন।
অমনি শুরু হলো সভাপতির স্বেচ্ছাচারীতার অনুসূচী,
কখনো বা সবার হাসিকে জড়ো করে
অভিমানে ভরা রাতের কান্নায় রূপ দেন
ছলনার অনুরাগে,কখনো বা জঘন্য পাপের দামামা বাজিয়ে উম্মাদ হাসি হাসেন
তারকা বিহীন পূর্ণিমার কোলে ভূপতিত হয়ে শুয়ে।
কখনো বা রং হীন ফ্যাকাশে সফেন পরা
সঙ্গীহীন বিধবার সতীত্ব নাশ করেন কল্পলোকে
দুর্বিনীত কংশ সেজে, অথচ বদনে সে সময়
শ্রীচৈতন্যের মতো অবলীলায় সাধু বাক্য বলেন।
এমন সময় আবার একদিন সভা ডাকা হলে
তমাদি খাতার পৃষ্ঠা উল্টানোদের পেছনের সারিতে বসে
সভাপতি বিমর্ষ চিত্তে বললেন, " হয়তো বা ভাবছেন
সভাপতি হয়ে এরূপ হলাম কেনো?"
আসলে ক্ষমতা পেলে অধিকাংশে এমনটায় হয়।
হোক না সেটা বিজয়ী মন
কিংবা আমাদের মতো তমাদি ধারক।
সেই বহুকাল আগে থেকেই দেহকে বশে আনতে যেরূপ উপায়ে
রমণীরা সোনা ও রূপার অলংকার পরেন,
তেমনি মনকে বশে আনতে মননে পরিয়ে দিন কল্পনার পেনডেনট।