আমি বুনোপাখি
অসংখ্য বছর ধরে পথ হাঁটছি পৃথিবীর পরে,
নশ্বরের চোখে চোখ রেখে বুকে রেখে বুক।
তেজস্ক্রিয় রবির প্রজ্বলিত ধারার সমাদৃত মহোৎসবে
তবু এতটুকু পারিনি আজো আপন করতে- নশ্বর দেহকে,
ঘুরছি ঘুর্ণিপাকে একবার নয় অজস্র লক্ষ কোটি কোটি বার।
বসত গড়ে মাটির ঘরে -করেছি বিদীর্ণ মন্থন সুখ
কত জ্বালাময় কত ব্যাধি বিষের,নৃশংস ঘরে কাঁটিয়েছি নিমিষে,
ব্যাথাতুর রজনীর দাবানল ঘরে পরিত্রাণ খুঁজি দেবলোকে, ভূলোকে।
আমি অবিনশ্বর, তবু ঋজু অথচ আসলে আমি উধাও
আমার অবিনশ্বর নিরাকার ব্রহ্ম খানি -নশ্বর দেহের সনে
মিথ্যে বন্ধন গড়েছে অতিব সংগোপনে।
অথচ কালের ফেরে খাঁচাকে নিথর অন্ধকারে ফেলে
ফাঁকি দিবো ঠিক মিছে কায়া ছেড়ে।
আমি যে নির্দয় অবিনশ্বর আত্মা
বুনো পাখির বেশে বনে যাবো উড়ে
একদিন ঠিকই জীর্ণ খাঁচা ছেড়ে...