বাসর রাতে রনি দাদা শুধায় বধূর কাছে
"বিয়ের আগের প্রেমিক পুরুষ তোমার কী কেউ আছে?
বলতে পারো আমার কাছে থাকলে এমন কিছু
এই জামানায় এসব বিষয় থাকেই সবার পিছু।
এটা কোন ব্যাপারই নয় আজকাল কার দিনে
বরং জীবন বৃথায়ই হয় প্রেমিক যুগল বিনে,"
বধূ ভাবে এমন স্বামী কোথায় পাবো আর
এই জগতের কারো সাথেই তুলনা নাই তার।
কপাল ভালো তাই তো আমি সরল স্বামী পেলাম
মনে মনে এটা ভেবেই স্বামীকে দেয় সেলাম,
সেলাম দিয়ে বধূ তখন নেমে খাটের থেকে
আলমারিটা থেকে বাক্স আনলো হেঁকে হেঁকে।
বাক্স এনে সেটাকে সে দিলো স্বামীর হাতে
বাক্স খুলে দেখলো স্বামী একশো টাকা তাতে,
টাকাটা সে তুলে নিয়ে দেখলো সাতটি চাল
অমনি বললো, "রাখো এসব, এটা দেখবো কাল।
এসব বিষয় এখন তুমি করো অবসান
আজকে এসব আনলে কেন ওগো প্রাণের জান?
বধূ বলেন ওগো স্বামী," জানতে তুমি চেলে
বিয়ের আগে এই জীবনে ছিলো নাকি ছেলে।
সেটার জবাব দিতেই তোমার হাতে দিলাম এটা
এটার হিসাব পেলেই তোমার প্রশ্ন হবে মেটা,"
স্বামী বলেন," তোমার কথা বুঝি না তো জান
খুলে বলো সকল কথা রেখে এসব ভান।"
বধূ বলেন," এই জীবনে পুরুষ প্রেমিক এলে
একটি চাউল এই বাক্সয় দিতাম আমি ফেলে,"
স্বামী বলেন," ওহ্ বুঝেছি এবার তোমার কথা
তার মানে কি সাতটি পুরুষ এসেছিলো তথা?
কিন্তু এটার মধ্যে কেন একটি একশো টাকা?
বধূ বলেন," চাউল বেঁচে করেছি গো ফাঁকা
দু’মাস আগে দু'কেজি চাল বিক্রি করে দিলাম
সেটা বেঁচেই একশো টাকা বাক্সে ভরে ছিলাম।
তারপরে এই সাতটি চাউল এই দু'মাসে ভরি
কথা শুনে রনি দাদা কেঁদে বলেন, " হরি!"
হরি বলার সাথে সাথেই বেহুঁশ হলেন দাদা
এটা দেখে গিন্নি তখন হয়ে গেলেন হাঁদা।
দু'দিন পরে রনি দাদা হুঁশে ফিরে এসে
হাসপাতালের নার্সকে তিনি শুধায় ভীরুর বেশে,
"ওগো দিদি একটি কথা জানতে আমি চাই
দুই কেজিতে কয়টা চাউল বলুন দেখি তাই? "