'এনে বুনো পাখি' সযতনে রাখি,
নিজের শোবার ঘরে,
নিজে খাই যেটা তাকে দেই সেটা
ভালোবাসি অগোচরে।
শত ভালোবাসা, শত ছিল আশা
মনে-মনে সারা-ক্ষণ,
পাখিও আমাকে, রোজ ফাঁকে-ফাঁকে
বহু দিত শিহরণ।
গানের পরশে, মনের হরষে
ডাক দিত যতবার,
আমিও সে ডাকে ভালোবেসে তাকে
কাছে গেছি ততবার।
ভালো খায় যেটা" এনে দেই সেটা
মোরা যেন পরিজন,
চোখের আড়ালে কখনো দাঁড়ালে
ফেলে দিত আলোড়ন।
মোরে ডেকে-ডেকে , ওর চোখ থেকে
ঝরাত শুধুই জল,
ওকে চুমু খেয়ে, সাথে গান গেয়ে,
আমারো নামতো ঢল।
প্রতি ভোরবেলা, হতো সে-কি খেলা,
জয় রাঁধে-রাঁধে বলে,
নয়নের জলে ভেসে অবতলে,
পদতলে যেতো ঢলে।
সুপ্রভাত বলে নিতে বলে কোলে
আরো কতো খেলা ছিল,
এতো-এতো খেলা খেলে যেতো বেলা
অথচ ফাঁকি সে দিলো!
উড়ে গেল পাখি, রাঙা করে আঁখি
হায়রে পাখির খেলা!
ভেবে মনে-মনে , শত আলোড়নে
ঘনাই সাঁঝের বেলা।
কীসের অভাবে, না কিরে স্বভাবে
উড়ে গেলি খাঁচা ফেলে?
কোন অপরাধে, ভালোবাসা বাঁধে
বিভীষিকা গেলি জ্বেলে?
গেলি খাঁচা ফেলে দু'টি ডানা মেলে
জানি না কিসের টানে,
তবু বুকে মোর কেন ওঠে শোর
বুঝি না এটার মানে!
তোর মতো বেঁকে, এই দেহ থেকে
জানি উড়ে যাবে প্রাণ!
ভেবে সেটা হায়, কেন থেমে যায়
অকারণে সব গান?