ওগো,অচিন নিয়তি,
অদৃষ্টের কষাঘাতের করিডোরে অজ্ঞাত জন্মান্তরের ভেরে একাকী কত বাহানায় আঁকছো,
বিতৃষ্ণা বিধুর জোনাকির স্বপ্নের
দ্বারে দ্বারে,
তোমার অন্তরিক্ষের ব্যাঘ্রের অন্তস্তলে অসংখ্য কু-চক্রীরা অজস্র প্রলাপে বিলাপে অনর্থক মতলব আঁটছে,
দুর্ভোগের ঝলসানিতে ললাটে তুর্যের মত হা-হুতাশে ঘাম ঝড়ে নীলাম্বর সমাধির বন্দরে।

হে নিয়তি,
তোমার জঠরে মম সীমন্তিনী রুক্নিণী ওরা ঘোর আমোদে অজস্র সখ্যতার ভরে জ্বলে পুড়ে
শ্বশানের কুটের মত ছাই হয়ে গেছে,
তোমার উৎফুল্লের সমাহার,
আঘাত বিতৃষ্ণার বাণী সখ্যতার লাগামে
নির্দয় তালারুদ্ধ করে জ্বালাও পোড়াও আমার সম্ভ্রম,
আমার জ্বলনে তোমার উৎকর্ষ,তোমার কলিজায় মেতেছে নৃঃশংশ শতদল,জ্বালিয়ে করেছো ভষ্ম,
বিবেকের বলি আর অযাচিত রন্ধ্রে আবৃত বিষাক্ত বিষের বুকে
ভয়ংকর প্রশ্বাসে শুষে নেও আমার সমস্ত কুল।

হে নিয়তি,
পাষানের বুকে বজ্রঘাতে করেছো চৌচির মম দূর্গম ধরনী,
আজ শুকিয়েছে অশ্রু জল,লেপে যাচ্ছ তুমি দুঃখেরু দেশে তীব্র থেকে তীব্রতর বিদ্ধস্ত ধ্বংসের মহাশ্মশান,
তোমার বিমূঢ় মুর্তে আমি ক্রন্দিত চিত্তে শুধুই কেঁদে যাই
আর বৃথায় আহাজারি করে ফিরি তীর্থের দ্বারে দ্বারে।
তবু কেনো দাওনা নিস্কৃতি?
এত নিষ্ঠুর তুমি কেনো হে নিয়তি?