রফিক দাদার বাড়ি সিলেট, চীনে থাকেন উনি
মাঝেমাঝেই ফোন আলাপে কেমন আছেন শুনি,
রোজই উনি ভীষণ দাহে বলেন কান্না করি
"এই জানখান আজও রে ভাই সিলেট রইছে ফড়ি।
খরতে খরতে মা'য়ের ছিন্তা জানটা জ্বলি যায়
এরদায় মা'র ভিসা খরতে ভিসা অফিস ধায়,"
অবশেষে রফিক দাদা পেলো মায়ের ভিসা
ভীসা পেয়ে খুশির চোটে হারান তিনি দিশা।
রওনা হলো মা জননী মহাখুশি নিয়ে
যাত্রাশেষে যখন তিনি নামেন চীনে গিয়ে,
চেয়ে দেখেন এয়ারপোর্টে রফিক বসে আছে
ত্বরা করে মা জননী গেলেন ছেলের কাছে।
সকল ব্যথা ভুললো দু'জন একে অপর পেয়ে
মনের সুখে বহু প্রশ্ন করেন রফিক ধেয়ে,
মা'কে প্রথম শুধায় রফিক এ বেলার এ সাঁঝে
"আফনার গুম কিলা হুইছুন এই ফ্লেনের মাঝে?"
মাতা বলেন," না রে বাবা গুমাইতাম না ফারচ্ছি"
রফিক বলেন, " ক্ষিতার লাগি খাইছইন কী Rc?"
মাতা বলেন, " চক্ষু বুজলেই দলা বেঠি আসে
বেঠিগুইন কানওর সামনে আইয়া খালি খাশে।
খেশে খেশে কইন খালি টিয়া ফাঁকি তারা
টিয়া ফাঁকি, টিয়া ফাঁকি ওতা কেমন ধারা?"
মা আর ছেলে ধেয়ে গেলো কর্তৃপক্ষের কাছে
সেথায় গিয়ে মাতা বলেন, " ছলের নালিশ আছে।"
প্রতারণা আমার লগে হইলো কেন করা
ওটার বিচার ওখনি চাই করইন দেখি তরা
নই তো সবই ভাঙি চুড়ি করবো অবতল
কেন ওরা একলা পাইয়া করলো এমন ছল?"
কর্তৃপক্ষ বললো মা গো," নয় তো এটা ছল,
Tea or coffee বলেছিল বিমাল বালার দল।"
রফিক তখন, " হেসে বলে মা জননীর কাছে
এই জগতে পড়া লেখার বহুত মূল্য আছে।
এমন কভু হইতো না মা জানলে লেখা পড়া
তাই তো আইয়ো এখন আমরা বানাই জ্ঞানের ধরা।"